Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তালতলীর চেয়ারম্যানকে অপসারণ

বরগুনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

অসদাচরণ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টুকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারী করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। গত সোমবার প্রজ্ঞাপনের কপি তালতলী উপজেলা পরিষদে এসে পৌছায়। এর আগে চলতি মাসের ৮ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব আঞ্জুমান আরা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন সুত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টুর বিরুদ্ধে তালতলী উপজেলার তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী তোফায়েল হোসেন, বড়বগী ইউনিয়ন ভুমি অফিসের অফিস সহকারী জসিম উদ্দিন মধু, ছোট অংকুজানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুন্দর আলী, তালতলী সিনিয়র মাদ্রাসার দপ্তরী মোঃ শাহজাহান মিয়া, আরডিএফ এর চেয়ারম্যান উসিত মং, তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমলেশ চন্দ্র হাওলাদার, এসআই আঃ খালেককে মারধর ও লাঞ্ছিত করাসহ বেআইনিভাবে সরকারি জমি দখলকরে স-মিল স্থাপনসহ ১৬টি অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
মন্ত্রনালয় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে বিষটি তদন্তের নির্দেশ দেন। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৫টি অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর মন্ত্রনালয় উপজেলা চেয়ারম্যানকে অভিযোগের কারন দর্শানোর নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে দাখিলকৃত জবাব ও ব্যক্তিগত শুনানীতে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু অভিযোগ সমূহ অস্বীকার করলেও অভিযোগসমূহের প্রকৃতি গুরুতর হওয়ায় কারন দর্শানোর নোটিশে উল্লেখিত বক্তব্যের স্বপক্ষে তথ্য প্রমানাদি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানকে অনুরোধ হয়। ওই উপজেলা চেয়ারম্যান অভিযোগের স্বপক্ষে কোন তথ্য প্রমানাদি ব্যাখ্যা প্রদান না করায় পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু ব্যক্তিগত শুনানী গ্রহন করেন। দ্বিতীয়বার ওই উপজেলা চেয়ারম্যান শুনানীতে জবাব দাখিল করলেও কোন তথ্য প্রমানাদি দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্ত্রনালয় মনে করেন। তার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী তাকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারী করেন। এ বিষয়ে অপসারণকৃত উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু দৈনিক দ্বীপাঞ্চলকে জানান, আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনের প্রতিপক্ষ মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। কোন অভিযোগই সত্য ছিল না। আমি উচ্চ আদালতে রিট করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অপসারণ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ