Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার অপহৃত ব্যক্তি উদ্ধার

নারীকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে অপহরণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ১২:৩৯ এএম

অর্থের জন্য ছোট বড় ব্যবসায়ী বা শিশুদের অপহরণের কথা প্রায়শ: শোনা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা পুরুষ হয়ে থাকেন। তবে এবার কিছুটা কৌশল বদলে ভিন্ন পন্থায় মাঠে নেমেছে অপহরণকারীরা। অতি সহজে টার্গেট ঘায়েল করতে নারীদের টোপ হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছে এসব চক্র। খোদ রাজধানীতে এমন একটি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার নারীকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে আব্দুল হক রাজ (৬১) নামে সিমেন্ট কোম্পানির এক কর্মকর্তাকে অপহরণ করেছিল চক্রটি। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার চারদিন পর অপহৃত কর্মকর্তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হল- সবুজ, বশির, ফারুক, লাভলু ও জালাল মিয়া। গতকাল রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান পুলিশের ওয়ারি জোনের উপকমিশনার ফরিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, আব্দুল হক শাহ্ সিমেন্ট কোম্পানিতে বিপনন বিভাগে এস.আর পদে চাকরি করেন। গত বৃহস্পতিবার আশা নামের এক নারী তাকে ফোন করে নির্মাণ (কনস্ট্রাকশন) কাজের জন্য সিমেন্ট কেনার কথা জানিয়ে গেন্ডারিয়ার সোনালী নুপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দেখা করতে বলে। সেখান থেকে কনস্ট্রাকশন সাইট দেখানো এবং কনস্ট্রাকশন সংশ্লিষ্ট লোকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য টঙ্গীর দত্ত পাড়ার একটি বাড়ির তিন তলায় নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত অপহরণকারীরা আব্দুল হককে জোর করে আটকে রাখে। চক্রটি আব্দুল হকের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা পরিশোধে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধর করে। ঘটনার পর পরিবার ও কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
ডিসি ফরিদ জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান শুরু করলে অপহরণকারীরা টের পেয়ে যায় এবং স্থান পরিবর্তন করে। একপর্যায়ে গত রোববার আব্দুল হককে দত্তপাড়া থেকে কামাড়পাড়ার জালাল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। তাকে মুক্তিপণের জন্য প্রচন্ড চাপ দেওয়া হয় সেখানে। তখন পুলিশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়। ওইদিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯টার দিকে আব্দুল হককে উদ্ধার এবং ঘটনাস্থল থেকে অপহরণ চক্রের বশির, ফারুক ও জালালকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে টঙ্গী থেকে বাকি দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিসি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাববাদে অপহরণের কথা স্বীকার করেছে। চক্রের নারী সদস্য আশা এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। অন্যদিকে এ ঘটনায় গেন্ডারিয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ