রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
অপ্রতিরোধ্য গতিতে খাদ্যসামগ্রীতে ভেজাল কারবার চলছে যশোর অঞ্চলে। কোনোভাবেই ভেজালকারীদের দাপট প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। মাঝে মধ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান চললেও বন্ধ করা যাচ্ছে না বিশেষ করে খাদ্যসামগ্রীতে ভেজাল কারবার। বরং ভেজাল কারবার দিনে দিনে বাড়ছেই। বাজারে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা খাদ্যসামগ্রীতে ভেজাল দেয়ায় মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। গত একমাসে যশোরে ভেজালবিরোধী অভিযানে অন্তত ২৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। তারপরও ভেজাল কারবার বাড়ছেই।
মুড়ি, গুড়, চিনি ও তেলে সবকিছুতেই ভেজাল আর ভেজাল। ওজনেও দেয়া হচ্ছে ভেজাল, এক হাজার গ্রামের স্থলে ৮ শ’ গ্রামের বাটখারায় কেজি হিসেবে বিক্রি, খাসির গোশতের বদলে দুগ্ধছাগি, রুগ্ন গরুর গোশত বিক্রিসহ খাদ্যদ্রব্যে অতিমাত্রায় ভেজাল দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘অভিযান তো মাঝে মধ্যেই চলে। ভেজাল কারবারীরা এতটা বেপরোয়া হয়েছে যে, তাদের লাগাম টেনে ধরা কঠিন হচ্ছে’।
সূত্র জানায়, ভেজাল কারবার বৃদ্ধি পাওয়ায় হাট-বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে বচসা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যশোর শহরের দড়াটানা, তসবির পট্টি, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, আরএন রোডসহ বিভিন্ন স্থানে বিকাল থেকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভেজাল খাদ্যসামগ্রী তৈরি করা হয়। বিশেষ করে শাহী জিলাপি ব্যবহৃত তেলে ভাজা হচ্ছে। খাদ্যসামগ্রীতে ভেজাল দেয়ার ঘটনা অনেকটাই ওপেন সিক্রেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবাই জানেন, তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে ভেজাল সামগ্রী ক্রয় করতে হচ্ছে। যশোরের বিভিন্ন স্থানে ঢাকার নামীদামি কোম্পানির বিস্কুট, জুস, পাউরুটি, কেক তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে যশোরসহ কয়েকটি স্থানে নকল বেকারি সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে।
যশোরের চৌগাছা, বেনাপোল, শার্শা, কেশবপুর ও মনিরামপুর বাজারের বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রিতে ওজনে কম ও ভেজাল দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দোকানে দোকানে মূল্য তালিকা টাঙানো হয়নি। কখনো মোবাইল কোর্ট চললে দোকানিরা কৌশলে সামনে রাখছে। আর মোবাইল কোর্ট চলে যাওয়ার পর আবার পেছনে রাখছে। পণ্য ওজনে কাঠের দাঁড়ি ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। জেলা মার্কেটিং অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৩৯ সালের স্ট্যান্ডার্র্ট ওয়েট অ্যাক্ট অনুযায়ী ‘ওয়েট বার’ কোনোভাবেই কাঠের হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু বাস্তবে যুগ যুগ ধরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাঠের ‘ওয়েট বার’ ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে ভেজালের পাশাপাশি ওজন ও পরিমাপেও মারাত্মক ঠকছেন ক্রেতাসাধারণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।