নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি ২২ ফেব্রæয়ারি ঘোষণা দিয়েছিলেন, হকির বিদেশী কোচের খরচ জোগাবেন তিনি। তার এ ঘোষণায় অনেকটাই প্রাণ ফিরে পায় দেশের হকি অঙ্গন। স্বপ্ন দেখা শুরু করেন হকিবোদ্ধারা। কিন্তু দিন যতই গড়াচ্ছে ততই যেন ঝিমিয়ে পড়ছে বিসিবি সভাপতির ঘোষিত ইউরোপিয়ান কোচ আনার বিষয়টি। কারণ শুধু ইউরোপীয় কোচ আনলে তো আর চলবে না, তার কাছে যারা শিক্ষা নেবে সেই খেলোয়াড়ও তো লাগবে। এজন্য দরকার ন্যূনতম ৪০ জন খেলোয়াড়কে ক্যাম্পে রাখা। যেখানে খরচ প্রচুর। পাপন তো কোচের খরচ যোগানোর ঘোষণা দিয়েছেন, কিন্তু খেলোয়াড়দের ক্যাম্প খরচ জোগাবে কে? কারণ হকি ফেডারেশনের ক্যাম্প খরচ চালানোর মতো পর্যাপ্ত টাকা বর্তমানে নেই। যে জন্য পিছিয়ে পড়ছে ইউরোপিয়ান কোচ নিয়োগ কার্যক্রম।
এ বিষয়ে হকি ফেডারেশনের যগ্ম সম্পাদক আনভীর আদিল খান বলেন, ‘বিসিবি প্রধান আমাদেরকে কোচ নিয়োগের ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। সেজন্য উনাকে ধন্যবাদ। জাতীয় দলের জন্য একজন ইউরোপিয়ান কোচ নিয়োগ দিলে তাকে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় হাজার ডলার বেতন দিতে হবে। তার উপর রয়েছে কোচের গাড়িবাড়িসহ আনুষঙ্গিক খরচ। সেটিও না হয়তো দেবে বিসিবি। কিন্তু একটি ক্যাম্প শুরু করতে ৩০ থেকে ৪০ জন খেলোয়াড়ের প্রয়োজন। তাদের থাকা-খাওয়া-যাতায়াত পকেটমানিরও দিতে হবে। এই ক্যাম্প চালাতে প্রতি মাসে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা খরচ হবে। হকি ফেডারেশনের এফডিআর ভেঙে এই টাকা নিতে হবে। এছাড়া কোনো উপায় নেই। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এভাবে এফডিআর থেকে টাকা নিলে একসময় তহবিল শূন্য হয়ে পড়বে। চেষ্টা চলছে স্পন্সর জোগাড় করার। দেখি কি করা যায়?’
পাপনের ঘোষণার পরপরই যুগ্ম সম্পাদক আনভীর আদিলকে আহŸায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। বাকি দু’জন হলেন জাতীয় দলের কোচ মাহবুব হারুন ও মামুনুর রশীদ। মাহবুব হারুন বলেন, ‘এশিয়ান লেভেলের কোচ তারা পাচ্ছেন কিন্তু ইউরোপিয়ান লেভেলের কোচ পেতে হকির সর্বোচ্চ সংস্থা এফআইএইচের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। ওরা বায়োডাটা পাঠালে সেখান থেকে কোচ নির্বাচন করা যাবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো বায়োডাটা দেখে কি আর কোচ নির্বাচন করা যায়? আমার মনে হয় বেলজিয়ামের মিশেন কিনান পরীক্ষিত। তিনি আগেও স্বল্পমেয়াদে বাংলাদেশে এসেছেন। তাকে দীর্ঘ মেয়াদে না পাওয়া গেলে খন্ডকালিন বিভিন্ন মেয়াদে আনলেও ভালো হবে। কিন্তু আমি চাইলেইতো হবে না। সকলের মতামত লাগবে।’ মামুনুর রশীদও সুর মেলালেন হারুনের কথায়।
হকিবোদ্ধারা মনে করছেন, বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদে কোন ইউরোপিয়ান কোচ আনলে তেমন লাভ হবে না। বরং এশিয়ান কোচের দিকেই মন দেয়া উচিত। ভালো মানের এশিয়ান কোচদের তিন হাজার ডলার মাসিক বেতনে পাওয়া যাবে। তবে মাঝে মাঝে দুই তিন মাসের জন্য ইউরোপিয়ান কোচ আনা যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।