পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘নৌকায় ভোট দিলে জনগণ কিছু পায়’ অভিমত ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকা চিরদিনই দেয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা যদি নৌকায় ভোট দেন এবং আওয়ামী লীগ যদি জয়লাভ করে, তাহলে প্রত্যেকটি গ্রামে নগরের সুবিধা পাবেন। প্রত্যেকটি গ্রামকে নগরে পরিণত করা হবে। গতকাল বিকালে পাবনা পুলিশ লাইনস মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষ্যে পাবনা মূলত সেজেছিল রঙিন সাজে। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে জনসভায় যোগ দিতে আসেন আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থক। রোদের তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকসমাগমও বাড়তে থাকে জনসভাস্থলে। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আর বাঁশি বাজিয়ে নেতাকর্মীরা জানান দেন শেখ হাসিনার আগমনী বার্তা। দুপুর ১২টা থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জনসভা স্থলে আসতে থাকে লোকজন। জেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা ব্যানার-ফেস্টুন, প্লেকার্ড নিয়ে আসেন। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছার-স্বাগতম’, ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ ইত্যাদি শ্লোগনে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পাবনা শহরের সড়ক-মহাসড়ক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশ, কারো কাছে ভিক্ষা করে চলবো না। জাতির পিতা বলেছিল, সাড়ে সাত কোটি মানুষকে কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে নাই, দাবিয়ে রাখতে পারবে না। জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করবো। তিনি বলেন, আমাদের যুব সমাজ, সকলেই তো আর চাকরি পাবে না। কর্মসংস্থান লাগবে। তার জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। বিনা জামানতে ৩ লাখ টাকা ঋণ পাবে। এজন্য কারও দাবি করতে হয়নি। আওয়ামী লীগ জানে, জাতির পিতা এ দেশ স্বাধীন করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
অভিভাবক-শিক্ষা-আলেম-ওলামা ও সমাজের সচেতন মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস- জঙ্গিবাদ-মাদকের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান করে চালাচ্ছি। আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাই। সবার কাছে আমার আবেদন থাকবে। মাদক একটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ একটা দেশকে ধ্বংস করে দেয়। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন আপনার ছেলে-মেয়েরা কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে। কেউ যেন এই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের দিকে না যায় সে দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আপনাদের সহযোগিতা চাই, নিজেদের লক্ষ্য রাখতে হবে। বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট শুধু ধ্বংস করতে জানে। বাসে, লঞ্চে আগুন দিতে জানে। পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করতে জানে। তারা দেশের কল্যাণে অতীতেও কিছু করেনি, আগামীতেও করবে না। এতিমের টাকা চুৃরি করে খেয়ে একজন এখন জেলে। তাকে আমরা জেলে দেইনি। পবিত্র কোরআনেও আছে, এতিমের হক-সম্পদ নষ্ট কর না, চুরি করা না। তারা সেটি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের আমলে পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন সময়ে করা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন-কল্যাণ হয়। নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ ও তার জোটকে ক্ষমতায় এনেছেন বলেই আজ দেশের কল্যাণ হচ্ছে। আগামীতে আরও উন্নয়ন হবে। তিনি বলেন, আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই, জাতির পিতা, আমার পিতা-মাতা, ভাই এবং আত্মীয় স্বজনদের হত্যা করা হয়। হত্যা করা জাতীয় চার নেতাকে। আমি জাতির জনক এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি।
পাবনাবাসীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আপনাদের জন্য এতগুলো উপহার নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন, আমরা আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এই নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই উন্নয়ন হয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে আমরা মাতৃভাষার অধিকার পেয়েছি, নৌকায় ভোট দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আগামী নির্বাচনে আপনারা যদি নৌকায় ভোট দেন তাহলে ক্ষমতায় আসবো। আপনাদের সেবা করার সুযোগ পাব। এ সময় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আবার নৌকায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন কি-না হাত তুলে দেখান। জনতা দুই হাত উপরে উঠিয়ে সম্মতি জানায়। এ সময় সবার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ওয়াদা আপনাদের কাছে করেছি, সে ওয়াদা আমরা নিশ্চয়ই পূরণ করবো ইনশাল্লাহ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর সভাপতিত্বে জনসভায় সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, পারভীন জামান কল্পনা প্রমুখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।