রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বাউফল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ভাগ বণ্টনের হিসেব না মেলায় ফেরত দেয়া হয়েছে বাউফল উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের জন্য এডিপির বরাদ্দকৃত এক কোটি টাকা। এ দিকে উন্নয়ণ বরাদ্ধের টাকা ফেরৎ যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমানের খামখেয়ালিপনা এবং সমন্বয়হীনতার কারণেই ফেরত গেছে উন্নয়ন বরাদ্দের কোটি টাকা। অপর দিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দাবি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ প্রকল্প জমা না দেয়ায় ফেরত দেয়া হয়েছে বরাদ্দকৃত টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাউফল উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের জন্য এডিপি খাত থেকে বরাদ্দ দেয়া হয় এক কোটি টাকা। কিন্তু ওই বরাদ্দকৃত টাকায় প্রকল্প গ্রহণ এবং বরাদ্দকৃত টাকা ইউনিয়ন পরিষদ অনুযায়ী বণ্টন নিয়ে বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমানের সাথে মতানৈক্য সৃষ্টি হয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের। এ নিয়ে অনির্ধারিতভাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের একাধিকবার আলোচনা হলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় প্রকল্প গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। আর এ কারণেই জুন মাস শেষে ফেরত দেয়া হয়েছে বাউফল উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত এক কোটি টাকা।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক বলেন, উপজেলা পরিষদ থেকে চিঠি দেয়া হলেও সেখানে বরাদ্দকৃত টাকার কোনো পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণে প্রকল্প গ্রহণ করা যাচ্ছিল না। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবকে একাধিকবার বলার পরেও তিনি এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেননি। মূলত তার খামখেয়ালিপনার কারণেই ফেরত গেছে উন্নয়ন বরাদ্দের এ টাকা।
এ বিষয়ে এডিপির প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রকল্প দেয়ার জন্য দুইবার চিঠি দিয়েছি কিন্তু কোনা প্রকল্প জমা পড়েনি। এ জন্য বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিযুষ চন্দ্র দে বলেন, আমি সদ্য এ উপজেলায় যোগদান করেছি। আমি আসার আগেই প্রকল্প গ্রহণের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। আর জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার বিধান থাকায় ফেরত গেছে ওই উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান বলেন, টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে মূলত দুই কারণে, প্রথমত চিফ হুইপ মহোদয় এই বরাদ্দ থেকে ৩০ লাখ টাকার প্রকল্প চেয়েছেন। দ্বিতীয়ত চেয়ারম্যানদেরকে দুইবার চিঠি দেয়া সত্তে¡ও তারা কোনো প্রকল্প জমা দেননি। আর প্রকল্প জমা না দেয়ার কারণেই টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। এখানে আমার বিরুদ্ধে যে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।