Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রের তালিকা তৈরি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তিনশ সংসদীয় আসনে ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটারের জন্য ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা পাঠানো হয়েছে। এখন সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করে আসন ভিত্তিক খসড়া তালিকা করা হবে। আপত্তি-নিষ্পত্তি শেষ করে কর্মকর্তারা তা কমিশনে পাঠালে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ইনকিলাবকে বলেন, অক্টোবরের মধ্যে ৩০০ আসনের ভোটার তালিকার সিডি ও ভোটার তালিকা মুদ্রণ শেষ করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উপযুক্ত সময়ে’ ইসি তফসিল ঘোষণা করবে।
সম্প্রতি কমিশন ওই নীতিমালা অনুমোদন করার পর তা মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসির উপসচিব আব্দুল হালিম খান। ইসির উপসচিব বলেন, সাধারণত আগের নির্বাচনে যেসব কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল সেগুলো অপরিবর্তিত রাখা হয়। তবে নদীভাঙন ও দুর্যোগে ভোটকেন্দ্র বিলুপ্ত হলে নতুন ভোটকেন্দ্র ঠিক করতে হবে। কোথাও ভোটার বাড়লেও নতুন কেন্দ্র লাগে। আসছে ৩০ জুলাই তিন সিটির ভোটের পর নির্বাচন কমিশন পুরোদমে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে নামবে কর্মকর্তারা। আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এবার তিন ৩ হাজার ভোটকেন্দ্র বেশি লাগবে ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। এর মধ্যে ৬১৩টি কেন্দ্র হবে পার্বত্য এলাকায়, বাকি ৩৯ হাজার ৩৮৭টি হবে দেশের অন্যান্য জেলায়। নবম সংসদ নির্বাচনের সময় দেশে ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি ভোটারের জন্য ভোটকেন্দ্র ছিল ৩৫ হাজার ২৬৩টি, ভোটকক্ষ ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৭৭টি। দশম সংসদ নির্বাচনের সময় ৯ কোটি ১৯ লাখ ভোটারের বিপরীতে ভোটকেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি। ৩০০ আসনে ভোটকক্ষ ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়, ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটারের বিপরীতে প্রয়োজন হবে ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্র, ভোটকক্ষ লাগবে প্রায় ২ লাখ।
কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, জুলাইয়ে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক খসড়া তালিকা প্রকাশ, অগাস্টে খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি ও নিষ্পত্তি, ভোটের ২৫ দিন আগে ইসি অনুমোদিত ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ এবং তফসিলের পর নিবন্ধিত দলগুলোর কাছে সেই তালিকা পাঠানোর কথা রয়েছে। ভোটকেন্দ্র নীতিমালায় বলা হয়েছে, গড়ে ২৫০০ ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকেন্দ্র এবং গড়ে ৬০০ পুরুষ ও ৫০০ মহিলা ভোটারের জন্য একটি করে ভোট কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে।
এছাড়া নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে পারতপক্ষে ভোটকেন্দ্র করা যাবে না। কেন্দ্র নির্ধারণে সাধারণত যাতায়াত ও ভৌগলিক অবস্থানের সুবিধা বিবেচনা করা হয়। তবে এ নিয়ে প্রার্থীদেরও নানা রকম অভিযোগ- আপত্তি থাকে। প্রতিবারই ভোটের আগ মুহূর্তে ভোটকেন্দ্র পাল্টাতে কিছু প্রার্থীর তৎপরতা দেখা যায়। তফসিল ঘোষণার পর ভোটকেন্দ্র কোনো প্রার্থীর বাড়ির কাছে বা প্রভাব বলয়ের মধ্যে পড়ছে বলে প্রতীয়মান হলে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করা যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভোটকেন্দ্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ