বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনটির বিধিমালাও প্রস্তুত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচনে ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটকেন্দ্র স্থাপন করে ভোট গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কমিশন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে ইসি। এ ক্ষেত্রে প্রথমবারের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেয়ার বিধানটিও যুক্ত করা হচ্ছে বিধিমালায়।
অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীকে প্রথমে ফরম পূরণে করে স্ক্যান করে তা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অনলাইনে দাখিল করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মূল কপিসহ বাছাইয়ের দিন স্বশরীরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম পৌরসভা নির্বাচনের সময় প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের ভয়-ভীতির কারণে অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলে ইসিতে অভিযোগ করেছিল। সে সময় অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিধান আনার জন্য পরিকল্পনা করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর চলতি বছর নবম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অনেক প্রার্থী ও দল এমন অভিযোগ আনলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেয়ার পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের জানান। এক্ষেত্রে জেলা পরিষদ নির্বাচনেই এ ব্যবস্থাটি প্রথম চালু হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর মধ্যে জেলা পরিষদই ব্যতিক্রম। এক্ষেত্রে সরাসরি ভোটাররা ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন না। এক্ষেত্রে এশটি জেলার অধীনে যতগুলোর স্থানীয় সরকার রয়েছে, সেগুলোর সদস্যরাই হবেন ভোটার। অর্থাৎ উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করবেন।
এজন্য নির্বাচন কমিশন প্রতিটি জেলাকে ১৫টি ভাগ করে ১৫টি ওয়ার্ড করবে। আর ভোটকেন্দ্র হবে ওয়ার্ডভিত্তিক। এক্ষেত্রে কোনো জেলায় যদি ৭টি উপজেলা থাকে। তবে প্রতিটি উপজেলায় সদরে হবে ২টি করে ভোটকেন্দ্র। আর যদি উপজেলার সংখ্যা ৩টি হয় তবে ভোটকেন্দ্র হবে ৫টি করে। অর্থাৎ ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটকেন্দ্র হলেও উপজেলার সংখ্যার ওপর অনুপাত নির্ভর করবে।
ইসির উপ-সচিব জানান, ওয়ার্ডভিত্তিকই হবে ভোটকেন্দ্র। কেননা, অনেক প্রত্যন্ত ইউনিয়ন আছে, যেখান থেকে জেলা সদরে এসে ভোট দেয়া কষ্টকর। তাই উপজেলা সদরে ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটকেন্দ্র স্থাপন করে ভোট গ্রহণ করা হবে। তবে কীভাবে তা স্থাপন করা হবে এ নিয়ে বিস্তারিত নীতিমালা আরও পরে হবে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সর্বোচ্চ নির্বাচনী ব্যয় রাখা হচ্ছে ৫ লাখ টাকা। আর সদস্যদের জন্য ব্যয়সীমা রাখা হচ্ছে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।