মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্য সফরে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ার হুমকিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ব্রিটিশরা আমাকে খুব পছন্দ করে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য সফরে রওনা হওয়ার আগে নেটো সম্মেলনে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগে যুক্তরাজ্য পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পরিকল্পনা নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাজ্য সফর করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরো মজবুত হবে এবং ভবিষ্যতে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এক বিবৃতিতে মে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক আছে। তাদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র আর নেই। আর আগামীতেও তাদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র কেউ হবে না। অপর এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বিচ্ছেদের যে পরিকল্পনা করেছে তাতে দেশটির সঙ্গে ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হয়তো সম্ভব হবে না’ বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ দৈনিক সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য-বান্ধব ব্রেক্সিটের যে পরিকল্পনা করেছেন তাতে তাদের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ‘মাঠে মারা’ যেতে পারে। “যদি তারা এ ধরনের (ব্রেক্সিট) চুক্তি করে, সেক্ষেত্রে আমরা বরং যুক্তরাজ্যের পরিবর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়েনের সঙ্গে চুক্তি করবো। তাই হয়তো (যুক্তরাজ্যের সঙ্গে) ওই চুক্তি আর হবে না।” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মত যুক্তরাজ্য সফরে এসেছেন। ট্রাম্পের সফর বাতিলের দাবিতে বেøনহেইম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। ব্রেক্সিট নিয়ে তার পরামর্শ না মানায় মে কে কিঞ্চিৎ তিরস্কার করে ট্রাম্প বলেন, “আমি হলে অনেটাই অন্যরকম ভাবে এটা করতাম। “আমি আসলে টেরিজা মে কে এটা কিভাবে করবেন সেই বিষয়ে সরাসরি পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার পরামর্শ গ্রহণ করেননি।” ট্রাম্পের এ ব্যক্তব্য নিয়ে মে’র কর্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ট্রাম্পের সফর শুরুর আগে মে বলেছিলেন, ব্রেক্সিটের পর তার বাণিজ্য পরিকল্পনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি বাতিল হওয়া উচিত হবে না। বরং ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ যুক্তরাজ্যের ইইউ ছাড়ার কথা রয়েছে। যদিও ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্য ও ইইউ’র মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক কেমন হবে সে বিষয়ে সমঝোতা হওয়া এখনও বাকি। ব্রেক্সিটের পর ইইউর সঙ্গে বাণিজ্যের যে পরিকল্পনা মে করেছেন তা নিয়ে এরইমধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠে গেছে। মের বাণিজ্য পরিকল্পনা পছন্দ না হওয়ায় এ সপ্তাহের শুরুতে প্রথমে ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডেভিড ডেভিস পদত্যাগ করেন। তার পরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বরিস জনসন। গত রোববার একইদিনে দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের ফলে অর্ধদশকের মধ্যে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক এবং বাণিজ্য নীতি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ঐক্য ধরে রাখতে সরকারের ব্যর্থ হয়েছেন বলে মত অনেকের। যা নিয়ে নিজ দলের মধ্যেই দারুণ চাপে আছেন মে। জনসনের পদত্যাগের পর জেরেমি হান্টকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন মে। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মে’কে জোরালো সমর্থন দেবেন বলে জানিয়েছেন। জনসনের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি ‘চমৎকার একজন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন’। বৃহস্পতিবার রাতে সান পত্রিকায় ট্রাম্পের এই সাক্ষাৎকার ছাপা হয়। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।