ইসলাম পূর্ণাঙ্গ ও সার্বজনীন জীবন ব্যবস্থা। ইহকালীন-পরকালীন কল্যাণ ও মুক্তির জন্য যা প্রয়োজন তার সবটুকুই ইসলাম বিশ্বের মানুষকে উপহার দিয়েছে। প্রতিটি মানুষই সমাজ ও রাষ্ট্রের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ইসলামী শাসন ব্যবস্থার বাইরে কোন মুসলমানেরই থাকার সুযোগ নেই। তাই ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং সুন্নাহভিত্তিক রাজনৈতিক আদর্শ বিশ্বাস না করে মুসলমান হওয়ার কোন সুযোগ নেই। সুন্নাহভিত্তিক রাজনীতি ছাড়া অন্যকোন রাজনৈতিক আদর্শই ইসলামী রাজনীতি নয়।
আজ নারায়ণগঞ্জ পাঠানটুলির আব্বাছিয়া মঞ্জিলে ভক্ত ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আলোচনাকালে ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী পীর সাহেব জৌনপুরী একথা বলেন। আলোচনায় তিনি বলেন, অনেকেই দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইসলামী রাজনীতির দোহাই দিয়ে থাকেন। তারা রাজনীতির মতাদর্শ হিসেবে পশ্চিমা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করেন, মানেন ও গণতন্ত্র চর্চা করেন। অথচ চলমান এই গণতন্ত্র আদৌ কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ নয়। চলমান গণতন্ত্রের আবিস্কারক প্লেটো। এই বিষয়ে তার লেখা বই হচ্ছে ‘দি রিপাবলিকান’। পরবর্তীতে তার সংষ্কার করেন এরিস্টোটল। তিনি আরো একটি বই লেখেন ‘দি পলিটিকস’ নামে। উল্লেখিত দুইজনই ছিলেন অগ্নিপুজাঁরী। পরবর্তীতে গণতন্ত্রকে আধুনিক রূপ দিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসেন, আব্রাহাম লিঙ্কন ও জর্জ ওয়াশিংটন। এরা দুজন হলো ক্যাথলিক খ্রীষ্টান। অতএব, গণতন্ত্রের আবিস্কারক, সংষ্কারক, প্রচারক তারা চারজনই অমুসলিম বা তাগুত। তাদের তৈরি করা রাজনৈতিক আদর্শ কখনই ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি হতে পারে না। তিনি বলেন, চলমান গণতন্ত্রের আদর্শ হলো সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। ইসলামের দৃষ্টিতে এটা সম্পূর্ণ শিরক। অথচ কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী সকল ক্ষমতার উৎস হলো আল্লাহ। তাই কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক একমাত্র রাজনৈতিক আদর্শ হলো খেলাফত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতেই কেবল ইসলামে পূর্ণাঙ্গণ সফলতা আসবে।