পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর কলাবাগানে ফুটওভার ব্রিজের নিচে থাকা দুই পথশিশু ও অসুস্থ মায়ের দায়িত্ব নিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোসাম্মৎ সুলতানা পারভীন।।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় দুই পথশিশু ও অসুস্থ মায়ের খোঁজ নিতে ঢাকার কলাবাগানে ছুটে আসেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীন। পরে তিনি দুই শিশু ও মায়ের সব রকমের দায়িত্ব নেন। এ সময় জেলা প্রশাসককে দুই পথশিশুর মাথায় হাত দিয়ে আদর করতে দেখা যায়। তিনি শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার নিয়ে আসেন।
জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন ইনকিলাবকে বলেন, আমি ঢাকায় অফিসিয়াল কাজে এসেছিলাম। ফেইসবুক সংবাদ দেখে আমি কলাবাগানে তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। এ অসহায় পরিবারকে আমি সব রকমের সহায়তা করব। তাদের থাকার জায়গা ও ঘর তোলার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে নগদ টাকা দেওয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের কুড়িগ্রামে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাকে বাড়ি করার জন্য সরকারিভাবে খাস জমি ও কিছু টাকা দেয়া হবে। সুলতানা পারভীন বলেন, দুই শিশুর লেখাপড়ার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। জেলা প্রশাসন থেকে তাদের সব রকমের সহায়তা করা হবে। সরকার সব শিশুকে প্রাথমিক স্কুলে যাওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। এটি আমার সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বের ভেতরে পড়ে। জেলা প্রশাসক বলেন, ওই পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তারা যেন কোনো ধরনের অভাবে না থাকে। প্রয়োজনে তাদের হাল-চাষের গরু দেয়া হবে। এমন অসহায় দুস্থদের জন্য সরকারের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। সেখান থেকেই সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় ঢাকার কুড়িগ্রাম সমিতির মহাসচিব সাইদুল আবেদীন ডলার, সেফটি স্কুলের নির্বাহী সম্পাদক সাখাওয়াত স্বপন ও ফেসবুকে ভিডিও ধারণ করে দেয়া তরুণ পারভেজ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার কুড়িগ্রাম সমিতির মহাসচিব সাইদুল স্বপন বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের মানবিক কাজ করে থাকি। আমরা দায়িত্ব নিয়ে বৃস্পতিবার রাতে ওই পরিবারকে বাসে তুলে দেব। সেফটি স্কুলের নির্বাহী সম্পাদক সাখাওয়াত স্বপন বলেন, আমার তরফ থেকে সব ধরনের সহায়তা করব।
গত শুক্রবার সোবহানবাগ মসজিদের কাছে প্রচন্ড জ্বর আর শরীর ব্যথা নিয়ে ফুটপাতে পড়ে থাকতে দেখা যায় এক অসুস্থ মাকে। শনিবার সারা দিনও ফরিদা রাস্তায় পড়েছিলেন। এদিন সন্ধ্যায় দেখা যায়, মা ফরিদাকে বাঁচাতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে ছোট দুই শিশু। তারা প্লাস্টিকের বোতলে করে পানি এনে মায়ের মাথায় ঢালছিল। এ দৃশ্য দেখে তা মোবাইল ফোনে ধারণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম জুয়েল। তিনি ছবিটি ফেসবুকেও শেয়ার করেন। এ ছাড়া পারভেজ হাসান নামে আরেক পথচারীও অসুস্থ মায়ের ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট করেন।
জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়ার ফরিদা বলেন, আমি আর ঢাকায় থাকতে চাই না। আমি বাড়ি ফিরতে চাই। যদি সহযোগিতা পাই, গ্রামে জমি কিনে ঘর তুলে কাজ করে খাব। এদিকে এমন খবরে টনক নড়ে জেলা প্রশাসনসহ কুড়িগ্রামের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।