Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে রোগীদের টানা ২০ ঘণ্টা জিম্মি রাখার পর ধর্মঘট স্থগিত

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০১৮, ৩:৩৫ পিএম

রোগী ও তাদের স্বজনদের ২০ ঘণ্টার বেশি সময় জিম্মি রাখার পর ধর্মঘট স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রের মালিকেরা। যুক্তিসংগত কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়ায় সমগ্র চট্টগ্রামব্যাপী যে গণঅসন্তোষ দেখা দেয় তাতে ধর্মঘট থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন চিকিৎসকেরা। প্রাইভেট হসপিটাল অ্যান্ড ল্যাব ওনারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ম্যাক্স হাসপাতালের পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী খান সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় দিকে ধর্মঘট তুলে নেওয়ার এই ঘোষণা দেন। তার দাবি, প্রশাসন ও বিএমএ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ধর্মঘটের কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন আমরা হাসপাতাল খুলে দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা শুরু করব। চিকিৎসার অবহেলায় এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে অভিযুক্ত নগরীর মেহেদীবাগের ম্যাক্স হাসপাতালে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের প্রতিবাদে লিয়াকতই রোববার দুপুরে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তার ওই ঘোষণার পর থেকে বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো সব ধরনের সেবা বন্ধ রাখলে রোগী ও স্বজনরা বিপাকে পড়েন। রোগীদের জিম্মি করে হাসপাতাল মালিকদের এই ধর্মঘট নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। বিএমএ ভবনের বৈঠক শেষে লিয়াকত সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন ম্যাক্স হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানের প্রতিবাদে এই ধর্মঘট। সন্ধ্যায় লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয় ম্যাক্স হাসপাতালে সাংবাদিকদের নগ্নহামলার প্রতিবাদে এই ধর্মঘট। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তাদের ধর্মঘটের কারণ বদল হয়ে যায়। যৌক্তিক কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ চিকিৎসা সেবার মতো জরুরি সেবা বন্ধ করে দিয়ে বিপাকে পড়েন হাসপাতাল মালিকেরা। প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে রোগী ও তাদের স্বজনেরা চিকিৎসার দাবিতে রীতিমত বিক্ষোভ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঝড় উঠে। বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের এমন কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করে তীব্র সমালোচিত হন চট্টগ্রাম বিএমএ’র নেতারা। কেন্দ্র থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় এমন অমানবিক ধর্মঘটের সাথে বিএমএ’র কোন সম্পর্ক নেই। এসব কারণে ধর্মঘট থেকে সরে আসতে বাধ্য হন বেসরকারি হাসপাতাল মালিকেরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ