মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমতির দিকে ছিল। এ অবস্থায় তেলের উৎপাদন কমানোরও সিদ্ধান্ত নেয় উৎপাদনকারী দেশগুলো। তাই আগামী ক’দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্বের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত, চলতি সপ্তাহে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিতব্য জ্বালানিবিষয়ক আন্তর্জাতিক বৈঠকের এজেন্ডা এবং সর্বোপরি আন্তর্জাতিক জ্বালানি এজেন্সির (আইইএ) সর্বশেষ মাসিক প্রতিবেদনে এমন আভাস পাওয়া গেছে। চলতি সপ্তাহে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো। আগামীকাল রোববার কাতারের দোহায় এই বৈঠক করবে আন্তর্জাতিক তেল রপ্তানিকারকদের সংগঠন ওপেক ও এর বাইরের উত্তোলক দেশগুলো। বৈঠকের প্রধান এজেন্ডা হিসেবে জানা গেছে, তেলের উৎপাদন সীমিত করার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানো। যদিও বৈঠকের পর তেল উৎপাদন কমবে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি এজেন্সি (আইইএ)। একই সঙ্গে বৈঠকের প্রভাব পুরোপুরি ইতিবাচক হবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
আইইএ বলছে, ধারণা করা হচ্ছে ২০১৬ সালে ওপেক বহির্ভূত দেশগুলোর জ্বালানি তেল উত্তোলন দিনে ৭ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল কমবে। যেখানে চলতি বছর এর পূর্বাভাস ছিল ৬ লাখ ডলার। সার্বিক দিক বিবেচনায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে। সংস্থাটির মে মাসের মাসিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তেলের সরবরাহ কমানোর চেয়ে উৎপাদক দেশগুলো যদি উৎপাদন সীমিত করার বিষয়ে একমতে পৌঁছে, তবে সরবরাহের ওপর তেমন একটা প্রভাব পড়বে না। আর এমনটি হলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিকটতম সময়ে বাড়বে না। ৫০ ডলারের মধ্যেই ঘুরপাক খেতে পারে। এর আগেও সউদি আরব, রাশিয়া ও কাতার তেলের উৎপাদন সীমিত করার ব্যাপারে একমতে পৌঁছে। কিন্তু তার প্রভাব বাজারে লক্ষ্য করা যায়নি। বাজার দর ধারাবাহিকভাবে কম ছিল।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার তুলনায় তেলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে দাম কমতে থাকে। ওই সময় এক ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রি হয়েছে ১১৭ ডলার। গত দেড় বছরে এই দর কমতে কমতে ২৬ ডলারে এসে ঠেকে। এরপরই নড়েচড়ে বসতে শুরু করেছে তেল উৎপাদক দেশগুলো। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি তেলের উৎপাদন সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো। তখন জ্বালানি তেলের অব্যাহত দরপতন ঠেকাতে সউদি আরব, কাতার, ভেনিজুয়েলা এবং রাশিয়ার জ্বালানি মন্ত্রীরা তেল উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে একমত হন।
ওই বৈঠকে আরো জানানো হয়, বৈঠকের পরের সপ্তাহেই তেলের বাজারে পরিবর্তন দেখা যায়। তেলের দাম কিছুটা বাড়ে তখন। এর আগের ১৮ মাস ধরেই তেলের দাম ধারাবাহিকভাবেই কমেছিল। আগের দামের চেয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যায় তেলের দাম। এর মূল্যহ্রাসের কারণে সউদি আরবের মতো বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো বিপাকে পড়ে। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।