মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল ভূমিকম্পে অন্তত ৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। বেশ কিছু বাড়িঘর ধসে পড়া ছাড়াও বৈদ্যুতিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ভূমিকম্পের আতঙ্কে কুমামোতো নগরের নিকটবর্তী মাসিকি শহরের অসংখ্য মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটান। অন্তত ১৬ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ও ৩৮ হাজার বাড়িতে গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়াও ১৬ হাজার বাড়িঘর ধসে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে মাত্র দুইজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেলেও পরে উদ্ধারকর্মীরা কাজ শুরু করলে নয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। ভূমিকম্পে ২৫৪ জন আহত হওয়ার প্রাথমিক খবর দেয়া হলেও পরে জানা যায়, এতে সহ¯্রাধিক মানুষ কমবেশি জখম হয়। জাপান রেডক্রস কুমামোতো হাসপাতালের ইয়াসুহিরো সোশিনো জানিয়েছেন, রেডক্রস-এর মেডিকেল টিম আক্রান্ত অঞ্চলগুলোতে পৌঁছেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল কুমামোতোয় ৬ দশমিক ৪ মাত্রার এই ভূমিকম্প ঘটে। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। ভূমিকম্প পরবর্তী দুটি কম্পন ঘটে, যার একটি ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ও অপরটি ৬ দশমিক ৪ মাত্রার। ভূমিকম্পের পর কোনও সুনামির পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া বিভাগ। তবে কিছু কিছু ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, জাপানের হোনশু দ্বীপে গত বৃহস্পতিবার পর পর ছয়বার ভূমিকম্পে অন্তত সহ¯্রাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। রিখটার স্কেলে প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ০। ভূমিকম্পে ১৯টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অনেকে ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই দ্বীপের পরমাণু চুল্লির ওপর কোনো প্রভাব পড়ার খবর পাওয়া যায়নি। দু’টি সেন্দাই পরমাণু চুল্লি যথারীতি কাজ করছে। এছাড়া নিয়মিত পরিদর্শনের জন্য সচল তিনটি জেনকাই চুল্লি বন্ধ রাখা হয়েছে। জাপানের চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইউশিহাইডি সুগা বলেন, ধসে হতাহতের সংখ্যা এখনো সঠিকভাবে নিরূপণ করা যায়নি। উদ্ধার কাজ চলছে। খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার পরপর পাঁচটি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপানের তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ হোনশু। প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.১। ভূমিকম্পের পর ৪৪ হাজার লোককে স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারে সরিয়ে নেয়া হয়। উদ্ধার তৎপরতার জন্য সেখানে ৩০০০ সেনা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পগুলোর কেন্দ্র ছিল মাশিকি শহর থেকে সাত মাইল পূর্বে ভূপৃষ্ঠ থেকে দুই কিলোমিটার গভীরে। এতে ভবন ধসে একজন ও আগুনে পুড়ে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে মাশিকি কুমামোটো পারফেচার ডিজাস্টার মেনেজমেন্ট জানিয়েছে। ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামিতে ২০,০০০ লোক নিহত হয়েছিল। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।