Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৩৭ জেলায় স¤প্রসারণ হচ্ছে সার্কিট হাউজ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

 দেশের ৩৭টি জেলায় সার্কিট হাউজ স¤প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় বিদ্যমান সার্কিট হাউজগুলোর ঊর্ধ্বমুখী স¤প্রসারণ করা হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে সরকারি চাকরিজীবীদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে সুশাসন ও দক্ষ সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে হাতে নিতে যাওয়া প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১৭০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ইতোমধ্যেই প্রক্রিয়াকরণ শেষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করবে গণপূর্ত অধিদপ্তর। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
যেসব জেলায় সার্কিট হাউজের ঊর্ধ্বমুখী স¤প্রসারণ করা হবে সেগুলো হচ্ছে, ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর জেলা। ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা এবং শেরপুর জেলা। চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দারবান, ফেনী, খাগড়াছড়ি এবং নোয়াখালী জেলা। বরিশাল বিভাগের বরিশাল, ঝালকাঠি এবং পিরোজপুর জেলা। রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ জেলা। রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী এবং পঞ্চগড় জেলা। খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ এবং মেহেরপুর জেলা। সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ জেলা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতে ডিসি অফিসের আওতায নূন্যতম একটি করে ২ থেকে ৩ তলা বিশিষ্ট সার্কিট হাউজ রয়েছে, যা বিভিন্ন সরকারি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রীয় সফরে রাত্রিযাপন ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা এখানে আয়োজন করা হয়ে থাকে। বর্তমান সার্কিট হাউজগুলো অনেক আগের সময়ের প্রেক্ষিতে নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ের তুলনায় বর্তমানে সংসদ আসন ও সরকারি কর্মকর্তাদের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া দিন দিন দেশে কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে বেশিরভাগ সার্কিট হাউজগুলোতেই স্থান সংকুলান হচ্ছে না। অনেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রীয় সফরে এসে বিভিন্ন বেসরকারি হোটেলে নিরাপত্তাহীনতার সঙ্গে রাত্রিযাপন করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় নতুন সার্কিট হাউজ ভবন নির্মাণ অথবা বিদ্যমান হাউজ ভবনগুলোকে ঊর্ধ্বমুখী স¤প্রসারণ করা অত্যন্ত জরুরি।
বিদ্যমান সার্কিট হাউজগুলোর বেশিরভাগই ৩ থেকে ৪ তলা বিশিষ্ট। সেক্ষেত্রে প্রতিটি ভবনকেই কমপক্ষে এক তলা ঊর্ধ্বমুখী স¤প্রসারণ করা সম্ভব। বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী স¤প্রসারণ করা সম্ভব এ ধরনের জেলার সংখ্যা ৩৯টি। পরবর্তীতে ৩৯টি জেলা হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ল²ীপুর ও নড়াইল জেলার সার্কিট হাউজের ঊর্ধ্বমুখী স¤প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তি না থাকায় প্রকল্প যাচাই কমিটির সভায় ৩৭টি জেলার ঊর্ধ্বমুখী স¤প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রস্তাবিত প্রকল্পের টাইপ-১ ও টাইপ-২ সর্বমোট ২৭৬টি নতুন কক্ষ নির্মাণের জন্য এই প্রকল্পটি গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত উন্নয়ন প্রকল্পের (ডিপিপি) উপর গত ২৮ মার্চ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্প এলাকাভুক্ত ৩৭টি জেলাকে ৪টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। তারমধ্যে সমতল ক্যাটাগরি ২৭টি, হাওড় ৪টি জেলা, উপক‚লীয় ৪টি জেলা এবং পাহাড়ি ২টি জেলা রয়েছে। পিইসি সভায় উথাপিত ডিপিপিতে প্রস্তাবিত প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬২ কোটি টাকা। পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে সদ্য প্রনীত গণপুর্ত ২০১৮ রেট শিডিউল অনুযায়ী ব্যয় প্রাক্কলন করত প্রস্তাবিত প্রকল্পের ডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়েছে। এতে করে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৭০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ