Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১১ সিটি কর্পোরেশনে ট্যাক্স বাকি ৭২৯ কোটি টাকা

সর্বোচ্চ বকেয়া ঢাকা উত্তর ও চট্টগ্রাম সিটিতে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন ১১ সিটি করপোরেশনের কাছে সরকারের বকেয়া গৃহকরের পরিমাণ ৭২৯ কোটি টাকার বেশি বলে সংসদকে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মন্ত্রী বলেন, বকেয়ার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বকেয়া রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় এমপি এ কে এম রহমতুল্লাহর লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে এগারোটি সিটি করপোরেশন রয়েছে। এসব সিটির অধীন অসংখ্যা আবাসিক ভবন রয়েছে। সেগুলো থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে থাকে সিটি করপোরেশন। কিন্তু হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের খুব বেশি সাফল্য নেই নগর কর্তৃপক্ষের।
মন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটির বকেয়া গৃহকরের পরিমাণ ৯৭ কোটি টাকা। ঢাকা উত্তর সিটিতে বকেয়ার হার ২৪০ কোটি ৭২ লাখ ৪১ হাজার ৮৬১ টাকা। একইভাবে, চট্টগ্রাম সিটিতে ২০৩ কোটি কোটি ৫৪ লাখ ২৫ হাজার ৪২৩ টাকা, রাজশাহীতে ৮ কোটি ৭৯ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৬ টাকা, খুলনায় ৬৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯ হাজার ৪৫০ টাকা, সিলেটে ৩২ কোটি ৬১ লাখ ২১ হাজার ৮২৭ টাকা, বরিশালে ৯ কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬১ টাকা, নারায়নগঞ্জে ২০ কোটি ৭৯ লাখ ৩ হাজার ২৩০ টাকা, কুমিল্লায় ৯৭ লাখ ৯১ হাজার ৭১১ টাকা, রংপুরে ১০ কোটি ৫১ লাখ ৮২ হাজার ১৫০ টাকা এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৩৭ কোটি ৬৮ লাখ ৬৫ হাজার ৯৫৭ টাকা ১১ সিটিতে মোট বকেয়া গৃহ করের পরিমাণ ৭২৯ কোটি টাকার বেশি।
মন্ত্রী বলেন, বকেয়া কর আদায়ের জন্য নগর কর্তৃপক্ষ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে অর্থবছরের শুরুতে প্রতিটি গৃহে বিলবহি প্রেরণ করা হয়েছে। অতঃপর নোর্টিশ, তাগিদ নোর্টিশ প্রেরণসহ মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট খেলাপী করদাতাগণের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। গৃহ মালিকদের সচেতন করার জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এছাড়া বড় ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে বিশেষ মেট্টোপলিটৈন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তাছাড়া কেন্দ্রিয় ভাবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর লক্ষ্যে গৃহকর বাবদ বকেয়া আদায়ে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
সব উপজেলা এখনো শতভাগ স্যানিটেশনের আওতায় আসেনি
মো. আবদুল মুতিনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে কোন থানা-উপজেলা এখনো শতভাগ স্যানিটেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি। শতভাগ স্যানিটেশন সম্পন্ন না হওয়া এসব থানা-উপজেলায় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার নানামুখি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ল্যাট্টিন ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা ৯৯ শতাংশ; যার মধ্যে ৬১ শতাংশ মানুষ উন্নত ল্যাট্টিন, ২৮ শতাংশ মানুষ যৌথ ল্যাট্টিন এবং ১০ শতাংশ মানুষ এখনো অনুন্নত ল্যাট্টিন ব্যবহার করেন।
ঢাকায় ৩০জন নগরবিদের বিপরীতে আছে ২জন
সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আয়তন ও জনসংখ্যা ঘনত্বের বিবেচনায় রাজধানী ঢাকায় নগর পরিকল্পনারবিদের চাহিদা রয়েছে ৩০জন। কিন্তু এই চাহিদার বিপরীতে কর্মরত আছেন ২জন; যার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে একজন এবং দক্ষিণ সিটিতে একজনসহ মোট দুইজন। মন্ত্রী বলেন, আয়তন ও জনসংখ্যা ঘনত্বের চাহিদা বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যাক নগর পরিকল্পনাবিদের পদ সৃজনের জন্য ইতিমধ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটি কর্পোরেশন


আরও
আরও পড়ুন