Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্নাহর বাইরে শরিয়ত তরিকত মারেফত হাকিকত নেই -তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৮, ৪:৪৫ পিএম

তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী বলেছেন- বিশ্বনবীজী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সুন্নাহ’র বাইরে কোনো শরীয়ত, তরিকত, মারেফত, হাকিকত নেই। রাসূল (সাঃ) যা পালন করতে আদেশ করেছেন এবং যা থেকে দূরে থাকতে নিষেধ করেছেন, তা আন্তরিকতার সাথে মানার নামই ঈমান ও আকিদা। এক্ষেত্রে নিজ মনমস্তিস্ক প্রসূত বা কোন তথাকথিত আকাবিরদের তরিকা মানা যাবেনা। যুগে যুগে পথহারা মুনসলমানদেরকে অন্ধকারের পথ থেকে দূরে সরিয়ে সিরাতে মুস্তাকিম পথে আহ্বান করার ক্ষেত্রে হক্কানী তরিকাপন্থী দরবারগুলোর ভূমিকা অতুলনীয়। কেননা হক্কানী তরিকাপন্থীদের প্রধান কাজ হলো তার সালেকদেরকে শিরক, কুফর, বিদ’আত থেকে সতর্ক করা এবং তার ক্বলব পরিষ্কার রাকার পদ্ধতিগুলো বাতলিয়ে দেওয়া। কারণ একজন লোক যতই নামাজ রোজা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি পালন করুক না কেন, যদি তার অন্তরের মধ্যে সামান্যতম শিরক কিংবা আকিদা ভুল থাকে। তাহলে তার কোন ইবদাতই কাজে আসবেনা। গতকাল নারায়ণগঞ্জ আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবারের এক আলোচনা মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
পীর সাহেব জৌনপুরী হুজুর আরো বলেন- আজকে সমাজে একদল ভন্ড তরিকত পন্থীদেররকে দেখা যায় তাদের দ্বারা প্রতিনিয়ত শিরক, কুফর প্রকাশিত হচ্ছে। আবার আরেক দল তরিকতপন্থী যারা নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি পালন ও যিকিরের নামে ভন্ডামী করছে। শুধু তাই নয় মানুষদেরকে কৌশলে শিরক শিক্ষা দিচ্ছে। সুতরাং আমাদেরকে উভয়প্রকার ভন্ড তরিকত পন্থীদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
আলোচনা মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- হযরত মাওলানা সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ আব্বাসী। এছাড়া অন্যান্য ওলামায়েকেরামগণ আলোচনা অংশ নেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ