পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719991005](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তাহরিকে খাতমে নুবুয়্যাত কাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুফতী ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী পীর সাহেব বলেছেন, দেশের কেবল মাত্র সমুদ্রসীমার মধ্যেই ৪০ থেকে ৫০ ট্রিলিয়ন গ্যাস রয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে। একটি স্বার্থেণে¦ষী মহল গ্যাস অনুসন্ধানকে বাধাগ্রস্থ করার কারণে সরকারকে গ্যাস সংকট মোকাবেলায়, বিদেশ থেকে উচ্চ মূল্যের এলএনজি গ্যাস আমদানী করতে হচ্ছে। আমদানীকৃত গ্যাসের উচ্চ মূল্যের কারণে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির আগাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির শঙ্কায় গোটা দেশবাসী চরম উদ্বিগ্ন।
আজ নারায়ণগঞ্জের আব্বাসী দরবারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় পীর সাহেব বলেন, এলএনজি আমদানী করলে ৪০০ শতাংশ অধিক মূল্যে এই গ্যাস আমদানী করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ঘণমিটার গ্যাসের গড় খুচড়া মূল্য ৬ টাকা ২২ পয়সা। আমদানী মূল্য অধিক হওয়ার কারণে চলতি সালের মধ্যে প্রতি ঘণমিটার গ্যাসের দাম বেড়ে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত হতে পারে বলে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে। অর্থাৎ প্রতি ঘণমিটার গ্যাসের বর্তমান মূল্যের চেয়ে তা হবে ৬ গুণ বেশী। আর এ পরিমাণ গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি হলে উৎপাদিত পণ্যের মূল্যও ৬ গুণের বেশী বাড়বে। ফলে দেশের মানুষের উপর অর্থনৈতিক চাপও বাড়বে ৬ গুণ। বিশেষজ্ঞদের মতে এলএনজি আমদানীর কারণে সার্বিক উৎপাদন মূল্যব বেড়ে যাবে। ফলে সরকার গ্রাহকদের কাছে যে দামে গ্যাস বিক্রি করছে, আমদানী করা গ্যাস বর্তমান মূল্যে বিক্রি করতে পারবে না। কারণ এত অধিক ভর্তুকী সরকার বহন করবে না।
পীর সাহেব বলেন, দেশীয় কোম্পানী বাপেক্সকে দিয়ে গ্যাস অনুসন্ধান করে উত্তলন করলে তা সল্প মূল্যে দেশের জনগণকে সুফল দিতে পারে। সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করার কারণে বাংলাদেশ অতিরিক্ত সারে ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পেয়েছে। যা ২৬টি ব্লক ভাগ করা যায়। অথচ মাত্র ৩টি বøকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাকী ২৩টি ব্লক অনুসন্ধানের বাইরেই রয়ে গেছে। এছাড়াও রয়েছ স্থল সীমানায় আরো গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা। সুতরাং সরকারকে স্বার্থেণে¦ষী মহলে চক্রান্ত প্রতিহত করে বাপেক্সকে দিয়ে সমুদ্রে এবং স্থলভাগে কার্যকর গ্যাস অনুসন্ধানে গুরুত্ব দিতে হবে। ভারত এবং মিয়ানমার ইতোমধ্যেই তাদের সমুদ্রসীমায় গ্যাস আহরণ শুরু করেছে। বাংলাদেশকেও অনুরূপ কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।