বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অপচিকিৎসায় আড়াই বছরের শিশু রাইফা খানের করুণ মৃত্যুর ঘটনায় আলোচিত নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছে র্যাব। রোববার দুপুর থেকে হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাবের একটি বিশেষ দল। র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মিমতানুর রহমান বলেন, ম্যাক্স হাসপাতাল, ওআর নিজাম রোডের মেট্রোপলিটন হাসপাতাল আর প্রবর্তক মোড়ের সিএসসিআর হাসাপাতালে একযোগে এই অভিযান শুরু হয়। ম্যাক্স হাসপাতালে অভিযনের নেতৃত্বে রয়েছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি হিসেবে ডা. দেওয়ান মাহমুদ মেহেদি হাসানও উপস্থিত রয়েছেন। অভিযান শুরুর ঘণ্টাখানেক পর র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে ম্যাক্স হাসপাতালে কিছু অসঙ্গতি পেয়েছি। রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন স্যাম্পল কালেকশন করে তারা চট্টগ্রাম ও দেশের বাইরের বিভিন্ন ল্যাবে পাঠিয়ে দেয়। অনেকটা কমিশন এজেন্টের মত তারা কাজ করেন। অথচ রোগীরা তাদের বিশ্বাস করেই এখানে মেডিকেল টেস্ট করান। দেশের বাইরে স্যাম্পল পাঠাতে সরকারি অনুমোদন লাগে। অথচ কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই তারা এসব নমুনা বিদেশে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, একজন নমুনা সংগ্রহ করছে, অন্যজন পরীক্ষা করছে আবার অ্যানালাইসিস করা হচ্ছে অন্য জায়গায়। এভাবে রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে ম্যাক্সের ল্যাবে।
এগুলো আসলেই পরীক্ষা হয়েছে কি না সেটাই তো নিশ্চিত না। বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাবে এইচএসসি পাস লোকজন চাকরি করছে। এখানে মিনিমাম স্নাতক ডিগ্রিধারী বা বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্নদের কাজ করার কথা। একটা হাসপাতাল চালাতে হলে অবশ্যই নমুনা পরীক্ষার নিজস্ব ব্যবস্থা থাকতে হবে সেটা তাদের নেই। অভিযানে ম্যাক্স হাসপাতালে ইতিমধ্যে এপিক হেলথ কেয়ার, ল্যাব এইড, পপুলার ডায়গনস্টিক সেন্টার, ডা. লাল প্যাথ ল্যাব, প্যাথ কেয়ার ল্যাব ও সিগমা ল্যাব লিমিটেডে করানো বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে জানিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলে, যাচাই বাছাই শেষে এ বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত জানাবেন। অভিযানে বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাবে ব্যবহৃত উপকরণ, ওষুধ এবং হাসপাতালের নথিপত্র ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগপত্র পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
সাংবাদিক রুবেল খানের কন্যা রাইফা গলায় ব্যথা নিয়ে গত ২৮ জুন বিকালে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ২৯ জুন রাতে তার মৃত্যু হয়। ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে আন্দোলনে নামে সাংবাদিকরা। তাদের সাথে যোগ দেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন পেশাজীবীরা। পরে ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত করে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসায় ব্যাপক গলদ পায়। সিভিল সার্জনের নেতৃত্বাধীন কমিটি কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা এবং গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবায় গলদসহ ১১টি ত্রুটি চিহ্নিত করে। হাসপাতালটিকে ১৫ দিনের সময় দিয়ে শোকজও করা হয়। # র ই সেলিম ০৮/০৭/১৮ইং
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।