বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী বলেছেন, প্রচলিত শাসন ব্যবস্থায় মানুষের শান্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তিতে বসবাস করতে হলে আল্লাহর জমিনে তার বিধান অনুযায়ী সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে এবং এ বিধান প্রতিষ্ঠায় সকলের অংশ গ্রহণ করা অপরিহার্য। মাওলানা নূরপরী বলেন, বরিশাল ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে চরম কারচুপি ও অনিয়ম হয়েছে। এতে সরকারের ব্যর্থতা ও চরম স্বৈরচারী মনোভাব ফুটে উঠেছে এবং প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে? দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ভূলন্ঠিত। ভোটার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই। সুতরাং আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সরকারকে সকল ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাজেট পাশ হওয়ার আগেই ব্যবসায়ীদের একটি গোষ্ঠী সিন্ডিকেট করে চালসহ নিত্য প্রয়োজীয় জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়েছে যা মানুষের জন্য খুবই কস্টকর। সুতরাং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, পাহাড়ী ঢল ও ভারতের পানির কারণে বেশ কিছু অঞ্চল পানির নীচে মানুষের দিনাতিপাত । দলীয় নেতা কর্মী দেশের বিত্তশালী ও সামাজিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। তিনি বলেন, গাড়ী চালক বেপরোয়ভাবে গাড়ি চালানোর কারণে দুঘটনার প্রবাহ দিনদিন বেড়েই চলছে। ডাইভারদের মাঝে আল্লাহ ভীতি থাকলে ও ধুমপান না করলে তারা এভাবে যানবাহন চালাতো না। সুতরাং সরকারকে তাদের বিষয়ে কর্যকরি পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।
আজ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার তৃতীয় অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পুরানা পল্টনস্থ দারুল খিলাফাহ মিলনায়তনে মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের পরিচালনায় অধিবেশনে আরো উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কুরবান আলী, মাওলানা ডক্টর জি এম মেহেরুল্লাহ, মাওলানা হাবীবুর রহমান, মাওলানা শরাফত হোসাইন, কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুল হক, বায়তুলমাল ও অফিস সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক নূর, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, মাওলানা নিয়ামাতুল্লাহ, মাওলানা জসীম উদ্দীন, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মুহাম্মদ আব্দুর রহীম, মাওলানা এনামুল হক মূসা প্রমুখ। অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাবসমূহ হচ্ছে, আল্ল¬াহ, রাসূল সা. ও ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান পাস, চালসহ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা, কওমী সনদের স্বীকৃতি জাতীয় সংসদে পাশ, ভেঙে ফেলা মসজিদ পুনঃনির্মাণ ও বন্ধ করা মাদরাসা খুলে দেয়া, কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনের নামে হামলা বন্ধ এবং মামলা প্রত্যাহার, বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়ানো, দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ, জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠার আহবান।