পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারী মশিউর রহমানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার এক কর্মসূচি থেকে, মশিউরকে ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষনা দিয়েছে তার সহপাঠিরা। ক্যাম্পাসের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষার্থীদের এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভাগের কয়েকজন শিক্ষকও ছিলেন। মশিউরের বাবা ও ছোট বোনও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে তিথী নামে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, মশিউর আমাদের সহপাঠী ও নিয়মিত শিক্ষার্থী। সে আমাদের সঙ্গে ক্লাসে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাস করব না। তাকে জেলে আমরা কোন ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশ নেব না।
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মশিউর কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহŸায়ক। গত কয়েক মাস ধরে চলমান এই আন্দোলনের মধ্যে গত ৮ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাংচুর হয়। ওই ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় পরিষদের যুগ্ম আহŸায়ক ফারুক হাসানসহ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের উপর গত কয়েকদিনে কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গত ৩০ জুন সূর্যসেন হল থেকে মশিউরকে পুলিশে সোপর্দ করে। ওই রাতে মশিউর তার ফেইসবুক পাতায় লাইভে এসে আন্দোলন থেকে সরে পড়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন। পুলিশ প্রথমে সেটা অস্বীকার করলেও পরে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়।
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক নেহাল করিম বলেন, আমাদের কোনো ধরনের খবর না জানিয়ে, আমাদের ছাত্রদেরকে জেলহাজতে নিয়ে যাবে, সেটা কাম্য না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমি কর্তৃপক্ষকে বলব অনতিবিলম্বে মশিউরকে ফিরিয়ে দিতে। এই না করলে হয়ত বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবে, সামগ্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এর প্রভাব পড়বে।
বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের বিরুদ্ধে হওয়া সহিংসতার বিরুদ্ধে। সেই দাবিও যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে জানানোর পরিস্থিতি না থাকে, তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে এটা সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। মানববন্ধনে বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।