নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা
অনূর্ধ্ব-১৯ দলে পারফর্ম করে নজরে আসা লিটন দাস ২০১৪-১৫ ক্রিকেট মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে কি দারুণভাবেই না কাটিয়েছেন! জাতীয় লীগে ৭ ম্যাচে ৫ সেঞ্চুরি, ৩ ফিফটিতে সবাইকে ছাড়িয়ে ১০২৪ রান (গড় ৮৫.৩৩), তার এমন পারফরমেন্সে প্রথমবারের মতো ট্রফিটা জিতেছে রংপুর বিভাগ। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে সেখানে আবাহনীর এই টপ অর্ডারের সংগ্রহ দ্বিতীয় সর্বাধিক ৬৮৬ রান (গড় ৪২.৮৭)। ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন পারফরমেন্সে তিন ভার্সনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হয়েছে এই উইকেট কিপার কাম ব্যাটসম্যান লিটন দাসের অভিষেক। তবে গত বছর টেস্টের পারফরমেন্স প্রত্যাশার কাছাকাছি থাকলেও (গড় ৩২.৩৩) ওয়ানডে এবং টি-২০তে করেছেন হতাশ লিটন দাস। হারিয়েছেন জায়গা সে কারণেই। টি-২০ বিশ্বকাপের পর্যন্ত লিটন দাসকে বিবেচনায় আনেননি নির্বাচকরা। জাতীয় দলের বাইরে থাকায় ড্রেসিং রুমটা করেছেন মিস, সে কষ্টটা চাপ রাখতে পারেননি লিটন দাসÑ‘ড্রেসিংরুম শেয়ার করাটা একটু মিস করছি। মাঝে মাঝে মনে হয় টিম খেলছে, আমি যদি টিমে থাকতে পারতাম। আর মাঝে মাঝে নিজের কাছে মনে হয় কিছু একটা ঘাটতি আছে বলেই হয়তবা আমি দলের বাইরে। তাই ওই ঘাটতি নিয়েই কাজ করছি।’ নিজের ভুলগুলো ধরতে পেরেছেন, তবে মিডিয়াকে গোপন রেখেছেন তা। নিজেই নিজের ভুলগুলো শুধরে ফেলতে চানÑ‘যেসব শট, প্ল্যানিংয়ে সমস্যা আছে সেগুলো নিয়ে আমি কাজ করতেছি। আমার কাছে আমার ভুল ধরা পড়েছে। এগুলো আমার কাছেই থাক।’
জাতীয় দলের বাইরে থাকার যন্ত্রণাটা অনুভব করছেন। বাংলাদেশ দল যখন টি-২০ বিশ্বকাপ মিশনে, তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে খেলে ঝালিয়ে নিতে চেয়েছেন লিটন। তবে বিসিএলে তার পারফরমেন্সটা ততোটা আহামরি নয় (৫ ম্যাচে ৩৫৫ রান)। বিসিএলে খেলার পর শরীরের উপর দিয়ে গেছে ধকল। সুস্থ হয়ে ফিরে আসা লিটন এখন বেছে নিয়েছেন প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগকে। যে প্রিমিয়ার ডিভিশনে পারফর্ম করে চিনিয়েছেন নিজেকে, সেই প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের আসন্ন আসরকে নিয়েছেন সিরিয়াসলিÑ‘যেহেতু এটা লিগ সিস্টেম খেলা, এখানে অনেকগুলো ম্যাচ হবে। তাই অবশ্যই এখানে একটা পরিকল্পনা আছে। ব্যাটিং, কিপিংয়ে কিছু একটা করতে চাই।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করতে পারলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি লিটন। এই ব্যবধানটা ধরতে পেরেছেন লিটনÑ‘আপস-ডাউনসের একটা কথা থাকে। হয়তো আমি ভালোভাবে ওই জায়গাটাতে সেট হতে পারিনি। তবে পরবর্তীতে যে হতে পারবো না, এমন কোনো কথা নেই। আমি সেভাবেই নিজেকে তৈরি করতে চাচ্ছি।’
জাতীয় দলে ফিরে জায়গাটা পাকা করতে হলে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কিপিংয়েও মনোযোগ দিতে হবে, তা ভালই জানেন লিটনÑ‘কিপিং নিয়ে যেসব ড্রিল আছে সেগুলো করি। আমি যখন থেকে ক্রিকেট শুরু করি তখন থেকে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কিপিংয়ে ফোকাস করছি। এখনো সেগুলো ঠিকঠাক মতো মেনে চলি। এই যেমন, ব্যাটিং এক ঘণ্টা করলে কিপিং আধ ঘণ্টা। আবার কোনো দিন কিপিং এক ঘণ্টা, ব্যাটিং আধ ঘণ্টা, এভাবে।’ কোচ, অধিনায়ক, দু’জনেরই পছন্দ ২১ বছর বয়সী লিটন। জাতীয় দলে লিটনকে সুযোগ দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা। তাই কামব্যাকের ইচ্ছাটা প্রবল লিটনেরÑ‘কোচও যেমন চান, ক্যাপ্টেনও চান আমাকে। তারা চায় আমি যেন কামব্যাক করি। তার জন্য পারফর্ম করতে হবে। তাই আমি চেষ্টা করছি পারফর্ম করার।’
সামনে অপেক্ষা করছে টেস্ট এবং ওয়ানডে। জাতীয় দলে কামব্যাক করতে চাই পুরো ফোকাসটা দিচ্ছেন আবাহনীর এই টপ অর্ডার আসন্ন প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগকে। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের সর্বশেষ আসরে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রাহক লিটন দাস আসন্ন প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে সর্বাধিক রান সংগ্রাহ হতে চানÑ‘ফর্ম তো উঠা-নামা করে। তারপরও আমি চেষ্টা করবো ভালো কিছু করার। গত বছর আমি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলাম। আমি অবশ্যই চাইবো যেন, আমি উপরের দিকে থাকতে পারি। যেহেতু আমার সামনে প্রিমিয়ার লিগ। পুরো ফোকাস প্রিমিয়ার লিগে, ভালো কিছু করা।’
গতবার আবাহনীতে পারফর্ম করায় এবার অপরিহার্য খেলোয়াড় হিসেবে প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই আবাহনী রেখে দিয়েছে লিটন দাসকে। আবাহনীতে নিজের এতো কদর দেখে রীতিমতো মুগ্ধ লিটনÑ‘আমি অনেক সৌভাগ্যবান। বড় দলে এবারো খেলতে পারছি। সত্যি কথা বলতে, আমি নিজেও চেয়েছিলাম এবার আবাহনীতে খেলতে। যেহেতু আগের বার পারফরম্যান্স ভালো ছিল, টিমও মোটামুটি একটা রেজাল্ট করেছে তাই চেয়েছিলাম যেন টিমটা আমারে রেখে দেয়।’ এখন তো আস্থার প্রতিদান দেয়ার পালা লিটন দাসের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।