পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টানা তৃতীয়বারের মতো রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এরপরও চলতি অর্থবছরের জন্য পাহাড় সমান ৫৭ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা টার্গেট দেওয়া হয়েছে। আর এই টার্গেট আদায় করতে হলে দিনে ১শ’ ৫৭ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে হবে। প্রতিমাসে আহরণ করতে হবে ৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। প্রতিবছর গড়ে কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায় বাড়ছে ৫ হাজার কোটি টাকা। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরের বিশাল টার্গেট অর্জন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে গেল অর্থবছরের চেয়ে ১৫ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে।
সদ্যসমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪২ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা। শুরুতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৪৮ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা। অর্থবছরের শেষদিকে এসে ৪ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা কমিয়ে ৪৪ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে বছর শেষে এই লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়নি।
কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, গেল অর্থবছরের শুরুতে টার্গেট বেশি ধরা হয়। পরে তা কমানো হলেও সেই লক্ষ্য অর্জন করা যায়নি। ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে দেশের সিংহভাগ রাজস্ব আদায়কারী এই প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্টদের মতে, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি প্রবণতা বৃদ্ধি, বিশ্ববাজারে কিছু পণ্যের দরপতনসহ বেশকিছু কারণে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান সম্প্রতি ইনকিলাবকে বলেন, গত বছরের চেয়ে ১৮ শতাংশের বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে, এটাই যথেষ্ট। দেশের প্রধান সমুদ্্র বন্দর ভিত্তিক সিংহভাগ রাজস্ব আদায়কারি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধমে দেশের নৌ-বাণিজ্যের প্রায় ৯৮ শতাংশ কন্টেইনার এবং ৯২ শতাংশ পণ্য হ্যান্ডলিং হয়। তাই চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি দেশের সার্বিক আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ইতিবাচক ধারার ইঙ্গিত বহন করে।
চট্টগ্রাম বন্দরেও কন্টেইনার ও পণ্য হ্যান্ডলিং বাড়ছে। গেল অর্থবছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। আগের অর্থ বছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৩ লাখ ৫ হাজার ৮৩ টিইইউএস বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। গেল অর্থ বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৮ লাখ ৮ হাজার ৫৫৪ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়। সার্বিক আমদানি-রফতানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব আহরণও বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সার্বক্ষণিক চালু রাখা হচ্ছে। লোকবলও বাড়ছে। ফলে রাজস্ব আদায় আরও গতিশীল হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।