Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশি বাধায় নাগরিক সমাবেশ পন্ড

ছেড়ে দেওয়া হয়েছে রেহনুমা ও বাকী বিল্লাহকে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:২০ এএম

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, গ্রেফতার ও পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে অভিভাবক ও বিশিষ্টি নাগরিকরা সমাবেশ করতে গেলে পুলিশি তাতে বাধা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও মানবাধিকার কর্মী রেহনুমা আহমেদ ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকি বিল্লাহকে আটক করে পুলিশ। যদিও আটকের আধাঘন্টা পরে শাহবাগ থানায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গতকাল বিকেল ৪টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ’ এ সমাবেশের আয়োজন করে। এ ছাড়া সমাবেশে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হকসহ অন্যান্যদের পুলিশ লাঞ্চিত করেছে বলে তারা সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন।
প্রেস ক্লাবের সামনে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, প্রশাসনের কাছ থেকে পূর্বানুমতি না নিয়ে সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। তবে সমাবেশে আসা কাউকে লাঞ্চিত বা হেনস্থা করা হয়নি বলে তারা জানান।
অধ্যাপক রেহনুমা বলেন, কোটা সংস্কার বর্তমান ছাত্র সমাজের নায্য দাবি। অথচ শিক্ষার্থীরা সংস্কারের দাবিতে রাজপথে নামলে সরকারি প্রশ্রয়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা ও অমানবিক নির্যাতন করছে। তিনি দ্রæত এসব হামলা-মামলা বন্ধ করার দাবি জানান এবং ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানান।
ফাহমিদুল হক বলেন, অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ সাধারণ ছাত্রদের ওপর চালানো হামলা-মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানাতে সমাবেশ ডেকেছিল। কিন্তু বিনা কারণে পুলিশ সমাবেশে বাধা দিয়ে তা পÐ করে দেয়। এ সময় পুলিশ সমাবেশস্থল থেকে অধ্যাপক রেহনুমা ও বাকি বিল্লাহকে আটক করে। তাদের ছাড়াতে গেলে পুলিশ তাকে লাঞ্ছিত করা ছাড়াও গায়ে হাত তুলেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
সমাবেশে আসা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সাধারণ আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে আসছে। তারা আমাদের সন্তান ও ভাই-বোনদের আহত করেছে। অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। তিনি আরও বলেন, প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে। কোন সমাবেশ করতে দেবে না। কাগজপত্র চাইতে গেলে তারা দু’জনকে আটকসহ অন্যদের লাঞ্চিত করেন। তিনি পুলিশের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানান।
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান ইনকিলাবকে জানান, বাকী বিল্লাহকে আটক করা হলেও অধ্যাপক রেহনুমাকে আটক করা হয়নি। তবে আটকের অল্প পরেই বাকি বিল্লাহকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পর প্রায় তিন মাসেও এ বিষয়ে কোন প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় গত শনিবার থেকে ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ