মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মেক্সিকোয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী নেতা বামপন্থী নেতা আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরের জয় মেক্সিকানের মনে পরিবর্তনের আশার সঞ্চার করেছে। তবে দেশটি থেকে দুর্নীতি, সহিংসতা ও দারিদ্র্য দূর করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কি এতটাই সহজ হবে? এমনই প্রশ্ন ঘুরছে সবার মনে। তবে পরিবর্তনের ব্যাপারে আশাবাদী দেশটির টেপিটো শহরের মানুষ। মেক্সিকোর সিটির পাশের শহর টেপিটোতে গেলে চোখে পড়বে সেখানে এখনো কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এখানকার প্রতিটি মানুষের চাওয়া একটাই, আর তা হল শহরের পরিবর্তন। কেননা টেপিটোকে বলা হয় মেক্সিকোর সবচেয়ে দারিদ্র্য-পীড়িত সেইসঙ্গে বিপজ্জনক একটি শহর। গত রবিবার মেক্সিকোর সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও এখনো তার আমেজ রয়ে গেছে প্রতিটি স্থানে। টেপিটোর প্রধান মার্কেটটির সামনে পুলিশের কড়া পাহারা তারই জানান দেয়। এমন থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেও রাস্তার পাশেই দোকান খুলে বসেছেন কয়েকজন। তাদেরই একজন হোরহে ডেরা। তিনি ও তার পরিবারের এই শহরেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা। শহরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। হোরহে ডেরা বলেন, দুর্ভাগ্যবশত টেপিটোয় ভালো কিছু টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। কেননা এখানে স্থানীয় মাস্তানদের দৌরাত্ম্যে কিছু করা যায় না। মাস্তানরা নিজেদের এই গ্যাংকে ইউনিয়ন বলে ডাকে। তারা খারাপ কিছু করার উদ্দেশ্যে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করে। এতে আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। তবে এর বেশি আমি কিছু বলতে পারবো না। ভয় হয়, যদি তারা জেনে যায় আমি তাদের নিয়ে কথা বলছি, তাহলে তারা আমাকেও ধরে নিয়ে যেতে পারে। গত বছর ডেরার ছেলেকেও এসব গ্যাংয়ের হামলায় জীবন দিতে হয়েছিল। একদিন তার ছেলে বাড়ি ফেরার সময় গ্যাংয়ের সদস্যরা মাঝপথে তার রাস্তা আটকায়। পরে তাকে খুন করে গাড়িটা নিয়ে যায়। এমন আরো নানা ঘটনা টেপিটো শহরের নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও জন্মস্থানের প্রতি মায়া থেকে এখানেই থিতু হয়ে আছেন হোরহে ডেরা।তার দীর্ঘদিনের বন্ধু প্রতিবেশী এবং ফুটপাথ দোকানি গেøারিয়াও এই কঠিন বাস্তবতার মধ্যের সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি রাস্তার পাশে ছোট একটা খাবারের দোকান চালাই। স্থানীয় মানুষরাই আমার ক্রেতা। সব মিলিয়ে দিনে ৪শ থেকে ৭শ পেসো আয় হয়। ডলারের হিসাবে যা ২০ থেকে ৩৫ ডলারের মতো। ভাবতে পারেন যে এই টাকায় কিভাবে সংসার চালাই। কিন্তু আমরা গরিব। আমাদের আয় বুঝেই চলতে হয়। কিছু করার নেই। গেøারিয়ার মোট তিনজন সন্তান। দুই মেয়ে এক ছেলে। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনি কখনোই চান না তারা টেপিটোতে বেড়ে উঠুক। টেপিটো শহরে দারিদ্র্য আর সহিংসতার এমন পাশাপাশি অবস্থান বেশ স্পষ্ট। তবে চাইলেই এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা এতোটা সহজ না। কেননা সমস্যাটা পুরো দেশব্যাপী। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে শুধুমাত্র গত বছরেই দেশটিতে সহিংসতায় খুন হয়েছে ২৯ হাজার মানুষ। চলতি বছর নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক রাজনীতিক। বিশ্ব-মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত ঘেঁষা এই দেশটির ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষ এখনো বাস করছে দরিদ্রতার মধ্যে। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।