Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ ৯৭তম দিবস

এহসান আব্দুল্লাহ : | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

 ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আজ ৯৭তম দিবস। তৎকালীন পূর্ব বাংলার পিছিয়ে পড়া মানুষের উচ্চশিক্ষার অন্যতম সূতিকাগার হিসেবে ১৯২১ সালের ১ জুলাই প্রথম ও একমাত্র বিশ^বিদ্যালয় হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। নবাব সলিমুল্লাহ, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সহ এ বাংলার বিশিষ্টজনের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় যাত্রা শুরু করার পর একে একে কেটে গেছে ৯৬টি বছর। এর মাঝে এ বিশ^বিদ্যালয় অবদান রেখেছে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, মহান মুক্তিয্্ুদ্ধ সহ নানা আন্দোলন সংগ্রামে। অবদান রেখেছে শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে।
এবার “অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উদযাপিত হচ্ছে ৯৭তম বিশ^বিদ্যালয় দিবস। এর মাঝে আর তিন বছর পর ২০২১ সালে উদযাপিত হতে যাচ্ছে এ বিশ^বিদ্যালয়ের শতবর্ষ। দিবসটি উপলক্ষ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানমালায় সকল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের জন্যও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন মল চত্বরে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এরপর একটি শোভাযাত্রাসহকারে বিশ^বিদ্যালয়ের টিএসসিতে (ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র) গমন করা হবে। সকাল ১১টায় টিএসসি (ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র) মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ওয়েবসাইট উদ্বোধন এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এতে “অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে উচ্চশিক্ষা” শীর্ষক প্রবন্ধ মূল উপস্থাপন করবেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পল্লী কর্মসংস্থান সংস্থার চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। দিবসের কর্মসূচী হিসেবে চীনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে এবং শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও এ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও হলসমূহ দিনব্যাপী নিজস্ব কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে আজ ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। তবে হল, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও অফিস সমূহ যথারীতি খোলা থাকবে।
১৯২১ সালের ১ জুলাই তারিখে ৩টি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, ৩টি আবাসিক হল, ৬০জন শিক্ষক এবং ৮৭৭জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কলা, বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ছিল সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, ফার্সি ও উর্দু, দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং আইন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫টি নতুন অনুষদ, ১৬টি নতুন বিভাগ ও ৪টি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পর বিশ^বিদ্যালয়ে ৪টি অনুষদ, ৪০টি বিভাগ ও ৬টি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐপনিবেশিক আমলে বিশ^বিদ্যালয়ে হল ছিল ৪টি, পাকিস্তান আমলে আন্তর্জাতিক হল সহ ৬টি হল প্রতিষ্ঠিত হয় তারপর স্বাধীনতার পর আরো ১০টি হল প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ৮৪টি বিভাগ, ১২টি ইনস্টিটিউট, ৫৪টি গবেষণা ব্যুরো ও কেন্দ্র, ২০টি আবাসিক হল ও ৩টি হোস্টেল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৯হাজার ৪শ’ ৯৬ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ১ হাজার ৯শ’ ৯৯ জন। ৬শ’ একর জমি নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। বর্তমানে এর জমির পরিমাণ ২৭৫.০৮৩ একর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ