Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জম্মু ও কাশ্মীরে আইএসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে আঞ্চলিক সরকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উপস্থিতি জোরালো হচ্ছে বলে স্বীকার করেছে আঞ্চলিক সরকার। ২৩ জুন প্রথমবারের মতো রাজ্যের প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে উত্তাল কাশ্মীর উপত্যকায় এই সন্ত্রাসী গ্রæপটির সক্রিয় অস্তিত্ব রয়েছে। এর আগে সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো রাজ্যে আইএসের অস্তিত্বের বিষয়কে নিছক মিডিয়া প্রচারণা হিসেবে বাতিল করে দিয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী স¤প্রতি চারজন বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিকে গুলি করে হত্যা করেছে। এর পরই সরকার জানালো যে নিহতরা আইএসের সদস্য ছিল। সেনাবাহিনীর ওই এনকাউন্টারের মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আইএসের প্রচারণা প্রতিষ্ঠান আমাক নিউজ এজেন্সি আরবিতে এই ঘটনার সংবাদ প্রচার করে এবং দাবি করে যে নিহতরা তাদের যোদ্ধা ছিল। কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান এস. পি. ভেইদ বলেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে স্থানীয় যুবকদের সন্ত্রাসী গ্রæপে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ভেইদ মিডিয়াকে জানান, কাশ্মীরে অন্তত আটজন আইএস যোদ্ধাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন ইসলামিক গ্রæপগুলো এখানে স্বাধীন ইসলামিক স্টেট প্রতিষ্ঠার জন্য অথবা ইসলামী পাকিস্তানের সাথে এক হয়ে যাওয়ার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে লড়াই করছে। পরিচয় গোপন রেখে এক পুলিশ কর্মকর্তা ইউসিএ নিউজকে বলেন, “এটা দুঃস্বপ্নের চেয়ে কোন অংশে কম নয় যে, আইএসের মতো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী সংগঠন কাশ্মীরে তাদের অবস্থান সংহত করছে”। তিনি জানান, পুলিশ কাশ্মীরে সংগঠনটির অবকাঠামো এবং জনশক্তি সম্পর্কে জানতে তদন্ত চালাচ্ছে। কাশ্মীরের যুবকদের চরমপন্থার দিকে উসকে দেয়ার বিষয়টি মিডিয়ায় বিতর্কের জন্ম দেয় ২০১৭ সালের মার্চে। সে সময় জাকির রশিদ ভাট ওরফে মুসাÑ যাকে কাশ্মীরের জঙ্গিদের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সে একটি ভিডিও প্রকাশ করে এবং এ অঞ্চলে ইসলামিক আইন প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণের আহŸান জানায়। ওই ভিডিওতে জাকির বলে, “আমি দেখতে পাচ্ছি কাশ্মীরের অনেক মানুষ জাতীয়তাবাদের যুদ্ধে জড়িত, যেটা ইসলামে নিষিদ্ধ। এই যুদ্ধ হওয়া উচিত সম্পূর্ণভাবে ইসলামের জন্য যাতে এখানে শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা করা হয়”। সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ