নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : মৌসুম সূচক ফুটবল টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের কাছে হেরে গেল ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘ক’ গ্রæপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা ২-১ গোলে হারায় মোহামেডানকে। বিজয়ী দল একটি আত্মঘাতী গোল পেলেও অন্যটি করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কলো মুসা। মোহামেডানের হয়ে এক গোল শোধ দেন গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই মোহামেডান আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। তারা প্রায় পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও শেষের দিকে যেন অনেকটা এলোমেলো হয়ে যায়। ফলে যা হবার তাই হয়। পয়েন্ট হারিয়ে মাঠ ছাড়ে সাদাকালোরা। মোহামেডানের হতাশার দিন জ্বলে উঠেছিলেন মুক্তিযোদ্ধার নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আহমেদ কলো মুসা। তার নৈপুণ্যে অসাধারণ এক জয় তুলে নেয় মুক্তিযোদ্ধা।
ম্যাচের শুরু থেকেই মোহামেডান প্রতিপক্ষের গোলমুখে আক্রমণ সানায়। মাঝ মাঠে মাসুক মিয়া জনি ও উইংয়ে ইউসুফ সিফাত দ্রæতগতিতে বেশ ক’বার মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণভাগ ভেদ করেন। কিন্তু একের পর এক আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায় না মতিঝিলের দলটি। ম্যাচের শুরুতেই সেনেগালিজ ডিফেন্ডার ইয়া ইয়া সি’র ফ্রি কিক ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ২৬ মিনিটে ইউসুফ সিফাতের নিচু ক্রস মুক্তির ছোট বক্সের ওপর থেকে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন মোহামেডানের ফরোয়ার্ড ইসমাঈল বাঙ্গুরা। প্রথমার্ধের পুরো সময়ই ছিলো মোহামেডানের। এই অর্দে মুক্তিযোদ্ধা ছিলো নিষ্প্রভ। তারা কোন আক্রমণই করতে পারেনি। গোলশূন্য অবস্থায় ম্যাচ বিরতিতে গড়ালে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও আক্রমণের ধারা বজায় রাখে মোহামেডান। ৬৫ মিনিটে আমিনুর রহমান সজীবের থ্রু’তে মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক মামুন খানকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি ইসমাইল বাঙ্গুরা। বল প্লেস করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা পায় মুক্তিযোদ্ধা। তবে এই ব্যর্থতার খেসারত দিতে দেরি হয়নি মোহামেডানের। পাল্টা আক্রমণ থেকে আত্মঘাতী গোল হজম করে তারা। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ডানপ্রান্ত থেকে গোলমুখে ক্রস করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধার নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আহমেদ কলো মুসা। বলটি বাক খেয়ে মোহামেডানের ডিফেন্ডার ল্যান্ড্রির গায়ে লেগে জালে আশ্রয় নেয়। গোল পেয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা (১-০)। এগিয়ে গিয়ে উজ্জীবিত হয়ে উঠে অলরেডরা। ৮২ মিনিটে আবারও আঘাত হানে তারা। এবারও সেই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আহমেদ কলো মুসা। তিনি প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের বাকানো ফ্রি কিকে গোল করে ব্যবধান (২-০)। ইনজুরি সময়ে (৯০+২ মিনিট) ব্যবধান কমায় মোহামেডান। এ সময় বিশ্বনাথ ঘোষের কর্নারে হেড করে গোল করেন ইসমাঈল বাঙ্গুরা (১-২)। তবে গোল করলেও দলের হার ঠেকাতে পারেননি গিনির এই ফরোয়ার্ড। ফলে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় মোহামেডানকে। একই ভেন্যুতে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দিনের অন্য ম্যাচে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ গোলশূন্য ড্র করেছে টিম বিজেএমসির বিপক্ষে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।