নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ২০১৫ বিশ্বকাপে মুশফিকুরকে সঙ্গে নিয়ে ৫ম জুটিতে ১৪১ রানের পার্টনারশিপে মাহামুদুল্লাহ নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন বলেই অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয়ের পথটা হয়েছিল তৈরি। মাহামুদুল্লাহ-মুশফিকুর, দুই ভায়রা মিলে বাংলাদেশকে এমন শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতিয়েছেন আরো বেশ ক’টি। অথচ, টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে বেঙ্গালুরুতে ১ রানে বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় দুই ভায়রাই এখন খলনায়ক। শেষ ৩ বলে ২ রান দরকার, ওই তিন বলের ট্রাজেডী কেড়ে নিয়েছে বাংলাদেশের স্বপ্ন। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে হারদিক পান্ডের ফুলটসকে পুল করতে যেয়ে ডিপ মিড উইকেটে দিয়েছেন ক্যাচ, পরের বলে একই ভুল করলেন মাহামুদুল্লাহ। কাভার থেকে ডিপ মিড উইকেটে দলের সেরা ফিল্ডার জাদেজাকে ডেকে এনেছেন ধোনী, তা পর্যন্ত লক্ষ্য করেননি এই মিডল অর্ডার। ভারতকে তাদের মাটিতে বাগে পেয়ে শেষ তিন বলের ট্র্যাচেডীতে নিজেকে এখনো অপরাধী ভাবছেন মাহামুদুল্লাহ। টি-২০ বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরে ১৬ দিন ক্রিকেটের বাইরে কাটিয়েও সেই অপরাধবোধ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে মাহামুদুল্লাহকে। গতকাল বিডি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সেই কষ্টের কথাই শুনিয়েছেন মাহামুদুল্লাহÑ ‘আমি আর মুশফিক যখন ব্যাট করছিলাম, ৩ বলে ২ রান দরকার ছিল, একবারও মনে হয়নি যে আমরা হারতে পারি। দারুণ দুটি চার মারার পর মুশফিক আউট হয়ে যাবে, সত্যি বলতে সেটা চিন্তাই করতে পারিনি। এরপরও আমিও আউট হয়ে যাব, সেটাও ভাবতে পারিনি। ভুল করে ফেলেছি।’
ছক্কা মারতে চেয়ে দলকে এমন বিপদে ফেলার দায়টা নিজের উপরই নিয়েছেন মাহামুদুল্লাহÑ‘ছক্কা মারারই বল ছিল। মিস করেছি। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানোর সুযোগ ছিল। এখন তো আর পেছনে গিয়ে শোধরানো সম্ভব নয়। চেষ্টা করব সামনে এমন পরিস্থিতি হলে আরও নিরাপদ অপশন বেছে নিতে।’ এমন ভুলে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মাহমুদউল্লাহÑ ‘এই ভুলটা সহজে ভুলবার নয়। বোধহীনের মত ভুলটা করে ফেলেছি। শুধু একটা কথাই বলতে চাই, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে এরকম পরিস্থিতি আসলে আরও বুদ্ধি খাটিয়ে খেলার চেষ্টা করব।’ শেষ বলে শুভাগতহোমের ব্যাট থেকে রান আসবে, ডাগ আউটে ফিরে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল মাহামুদুল্লাহ’রÑ ‘শেষ বলে অন্তত ১ রান হবে, তা ভেবেছিলাম। হয়নি, তার দায়টা আমারই। হারের দায়টা তাই নিজের উপরই নিচ্ছি। চাইছিলাম আমিই শেষ করে আসব, তা পারিনি।’
ভারতের কাছে বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডীতে তাসকিন, আরাফাত সানির জন্য কষ্ট হচ্ছে মাহামুদুল্লাহরÑ ‘আমাদের শীর্ষস্থানীয় ২ বোলার ছিল না। দলের সবার জন্যই হৃদয় ভেঙ্গে যাওয়ার মত ব্যাপার ছিল সেটি। জিততে পারলে তাসকিন-সানির জন্য ভালো লাগত। কারন, ওদের জন্যই খেলতে চেয়েছিলাম আমরা, ওদেরকে কিছু দিতে চেয়েছিলাম।’ ওই হারটা এতোটাই শোকাগ্রস্থ করেছে যে, সেই শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি মাশরাফি। কাশ্মীরে ঘুরে ঘুরে কাটছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির সময়। তারপরও ভুলতে পারছেন না সেই হার। ভারতের কাছে হেরে পুরো দলটাই পড়েছিল মুষড়ে, ওই রাতের খাবার খায়নি কেউ। এই অপ্রকাশিত খবর পর্যন্ত দিয়েছেন মাশরাফি কাশ্মীরের গনমাধ্যমকেÑ ‘সেই হারের পর সবারই মন খারাপ ছিল। ওই দিন রাতে কেউ খাবায় খায়নি। হার খেলারই একটি অংশ কিন্তু সেই ম্যাচটি আমরা হারতে চাইনি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।