Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পিপিপিতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে তুরস্ক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৮, ১২:০১ এএম

সরকারি বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সবচেয়ে সফল দেশ তুরস্ক। এবার বাংলাদেশে পিপিপির মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে। পূর্ব ইউরোপের দেশটি বাংলাদেশে সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য খাতে পিপিপির ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলেও বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে দেশটি। পিপিপি ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের বিষয়ে কথা বলতে আগামী ২৮ জুন দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়, বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বোর্ডের (ডিইআইকে) প্রধান লরা কো, ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসছে। সফরকালীন প্রতিনিধিদল বৈঠক করবে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সঙ্গে। পিপিপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করবে তুরস্কের প্রতিনিধিদল। তুরস্কের প্রতিনিধিদল এমন সময়ে বাংলাদেশে আসছে, যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফের নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান।
পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আফসার এইচ উদ্দিন বলেন, পিপিপি মডেলে প্রকল্প বাস্তবায়নে তুরস্কের অভিজ্ঞতা আছে। তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা অন্য অনেক দেশের তুলনায় বেশি। বাংলাদেশে যদি দেশটি পিপিপিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে, তাহলে এখানকার অবকাঠামো খাতে আমুল পরিবর্তন আসবে।
বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলছে, পিপিপির মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সফল হওয়া দেশগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে তুরস্ক। প্রথম স্থানে আছে ব্রাজিল। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ১৯৮০ সাল থেকে নীতি সংস্কার করে পিপিপির মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে তুরস্ক। সড়ক, সেতু, রেল, বিদ্যুৎ, হাসপাতাল নির্মাণে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে সে দেশে।
এদিকে শুধু পিপিপিতেই নয়; বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলেও বিনিয়োগ করতে চায় তুরস্ক। বাংলাদেশ সরকার সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে চায়, সে খবর রয়েছে দেশটির নীতিনির্ধারকদের কাছে। তাই চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ যেখানে পর্যাপ্ত জমি পাওয়া যাবে, সেখানে বিনিয়োগ করবে দেশটি। কোন কোন খাতে দেশটি বিনিয়োগ করতে পারে, তারও একটি ধারণা পাওয়া গেছে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), রাসায়নিক, জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ করতে চায়।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, ‘তুরস্ক আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে। এলএনজিতে তাদের বিশ্বের অন্যতম বড় কম্পানি আছে। তারা রাসায়নিক খাতেও বিনিয়োগ করতে চায়। তারা আমাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, প্রকল্প এলাকা দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এদিকে তুরস্ক দূতাবাস থেকে পিপিপি অফিসে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে বৈঠকের পাশাপাশি দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যেও বৈঠক হবে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও বৈঠক হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ