Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

গাজীপুরে ভোট আজ

ফারুক হোসাইন, ইয়াছিন রানা ও মোঃ দেলোয়ার হোসেন | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৮, ১২:০৬ এএম | আপডেট : ১২:৪৬ পিএম, ২৬ জুন, ২০১৮

উৎসাহ-উত্তেজনা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, সংকট-সম্ভাবনা, আস্থা-অনাস্থা, আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ঘিরে মানুষের মধ্যে সবগুলোই বিদ্যামান। স্থানীয় নির্বাচন অথচ এই ভোট নিয়ে আগ্রহ সারাদেশের মানুষের। দেশের ১৬ কোটি মানুষের চোখই শুধু নয়; দেশি-বিদেশী তথা আন্তর্জাতিক মহলেরও হাজারো চোখ এই নির্বাচনের দিকে। সবার প্রশ্ন নির্বাচন কেমন হবে? নির্বাচনে কোন দল বিজয়ী হলো সেটা নিয়ে আগ্রহের চেয়ে নির্বাচন কমিশন জাতিকে ‘কেমন নির্বাচন উপহার’ দেয় সেটাই দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে মানুষ।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন আজ। জাতীয় নির্বাচনের ছয়মাস আগে অনুষ্ঠিত এই সিটির নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। গত ১৫ মে খুলনায় ক্যারিশমাটিক কারচুপি নিউ মডেলের নির্বাচনের পর দেশী ও বিদেশী মহলে ব্যাপক সমালোচিত হয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজকের এই নির্বাচন তাই নির্বাচন কমিশনের জন্য অস্বস্তি এড়ানোর বড় চ্যালেঞ্জ। খুলনার নির্বাচনী মডেল থেকে বের হয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজন করতে না পারলে এই ইসির অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন করতে বর্তমান ইসির সক্ষমতা আছে কি-না তা প্রমাণে খুলনায় ব্যর্থতার পর এই নির্বাচনের নিরপেক্ষতাকে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছে সারাদেশের মানুষ। আর তাই এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে দেশের ১৬ কোটি মানুষ, ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক, দাতাদেশ ও সংস্থার প্রতিনিধি এবং দেশি-বিদেশী পর্যবেক্ষকগণ।
যদিও নির্বাচন কমিশন বলছে গাজীপুরে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ১২ হাজার বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটে কোন ধরণের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসের পরও অতীতে দলকানা আচরণের কারণে এবারও তাদের উপর কোন আস্থা রাখতে পারছে না বিএনপি। দলটির দাবি নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে বার বার অভিযোগ দেয়া হলেও কোন দাবি আমলে নেইনি ইসি। বরং তাদের নির্দেশনা উপক্ষো করে স্থায়ী প্রশাসন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। সরকারি দল ও স্থানীয় প্রশাসনের আচরণে গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন লক্ষণই নেই বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনের কাজে বাছাই করে দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি বলেন, প্রতিটি লোকালয়ে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির কাজ সুচারুরূপে চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পাইকারি হারে গ্রেফতার, বাসায় বাসায় তল্লাশি, বিভিন্ন কেন্দ্রে ধানের শীষ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতাদের গ্রেফতার, নতুন করে মিথ্যা মামলায় হয়রানি, বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে আসা ডিবি পুলিশের হানাদারি আগ্রাসন চলছে সমভাবে। ফলে যে ভোট আগামীকাল হতে যাচ্ছে, সেখানে জনগণ তাদের অবাধে পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে- এমন কোনো পরিবেশ এখনো দৃশ্যমান নয়। জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও আশঙ্কা গভীরতর হচ্ছে।
এদিকে আজ ধানমÐিস্থ দলীয় সভাপতির কার্যালয় থেকে গাজীপুর সিটি নির্বাচন মনিটরিং করবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এ সময় মোবাইলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মেয়র প্রার্থী প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গের যোগাযোগ রক্ষা করা হবে। আরেক দিকে এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে একটি টিম থাকবে নির্বাচন কমিশনে। যেকোন অভিযোগ বা সমস্যার সমাধানে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেবার জন্য।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সমন্বয় করার জন্য কেন্দ্র থেকে যোগাযোগ করা হবে। দলীয় কোন্দলের কারণে ভোটের দিন যেন কোন নেতা কাজ না করে চুপচাপ না থাকেন সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে এবং সকলকে মাঠে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। কোন ভোট কেন্দ্রে সমস্যা তা সমাধানের জন্যও ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ।
এদিকে প্রত্যেক ওয়ার্ডে দলের একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছে। তাদের নিজেদের মধ্যে যেন কোন ধরণের সমস্যা না হয় সে বিষয়েও তীক্ষœ দৃষ্টি রাখবে নির্বাচন মনিটরিং সেল। প্রয়োজন অনুযায়ী সারাদিনই দিক নির্দেশনা দেয়া হবে এবং ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতারা ধানমÐির কার্যালয়ে অবস্থান করবেন।
গাজীপুরে সিটি করপোরেশন স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও জাতীয় নির্বাচনের উত্তাপ থাকছে। বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখছে এটিকে। গাজীপুর সিটির প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিল বিএনপির প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান। সেবার নির্দলীয় প্রকীকে নির্বাচন হলেও এবার হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। তাই নৌকা প্রতীক নিয়ে গাজীপুরে নিজেদের মেয়র প্রার্থী চায় আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে গতবারের চেয়ে এবার আরও বেশি ভোটে বিজয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করেছে ধানের শীষের প্রার্থী।
জাতীয় নির্বাচনের ছয় মাস আগে অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের ইমেজ সৃষ্টির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশী মহলে কারচুপি ও জাল ভোটের অভিযোগ তোলার পর গাজীপুর এখন ইসির জন্য ‘প্রেস্টিজ ইস্যু’ হিসেবে দেখছে সাধারণ মানুষ। ছোট্ট পরিসরের এই নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং ভোটারদের নির্ভয় পরিবেশে নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারা এবং ভোট সুষ্ঠু গণনার পর ফলাফল প্রকাশের দক্ষতার উপর নির্ভর করছে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের ভবিষ্যৎ। নির্বাচনী এলাকার প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে ইসি ইতোমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে। একজন প্রার্থীকে সুবিধা দিতে অন্য এক প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের গণগ্রেফতার চলছে। একটি দলের প্রার্থীকে নিয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের গাড়িতে করে ঘুরে বেড়াতেও দেখা গেছে। ইসি নীরব থাকায় ভোটের আগে গণগ্রেফতার বন্ধে হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা দিতে হয়েছে। খুলনায় ভোটচুরি ও জাল ভোটের উৎসবের অভিযোগ ওঠার পর বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ‘সক্ষমতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফলে গাজীপুরের স্থানীয় সরকার নির্বাচনই এখন ইসির জন্য অগ্নিপরীক্ষা। নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিয়ে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ইসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান সিইসি কে এম নূরুল হুদা সাবেক সিইসি ড. এ টি এম শামসুল হুদার পথে হাটবেন না কাজী রকিবউদ্দিনের পথ ধরবেন, তার কিছুটা পরীক্ষা গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হয়ে যাবে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৭ সালের মধ্য জুলাইয়ে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যেই ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং অক্টোবর মাসে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার বার্তা দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সে লক্ষ্যে এগিয়েও চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইসি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। এর মধ্যে খুলনার নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক সমালোচিত ও বিতর্কিত হয়েছে কমিশন। খুলনার পর গাজীপুর সিটিতে সরকারি দলের প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়েও কোন সুরাহা করতে পারেননি।
জাতীয় সংসদের গাজীপুর-১, ২ ও ৩ আসনের কিছু কিছু অংশ নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা গঠিত। সিটি করপোরেশনের মোট ওয়ার্ড ৫৭টি। ভোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬জন। ভোটকেন্দ্র ৪২৫টি, ভোটকক্ষ ২৭৬১টি।
বেশিরভাগ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ: স্থানীয় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় ৪২৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাকী ৮৮টি কেন্দ্র সাধারণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য ২৪ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রের জন্য ২২ জন করে সশস্ত্র পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া থাকবে পুলিশের টহল দল ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা। সব মিলিয়ে ভোটের দিন প্রায় ১২ হাজার নিরাপত্তা কর্মী দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন আচরণবিধি প্রতিপালন পর্যবেক্ষণ ও নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীকে তাৎক্ষণিক সাজা দিতে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ১৯টি সংরক্ষিত মহিলা কেন্দ্রে একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। অপরদিকে ১৯টি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স, ১০টি র‌্যাবের টহল টিম এবং ২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়ন থাকবে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডল জানান, ৯ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ৫৭টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, সংরক্ষিত আসনে ২০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭টি এবং অতিরিক্ত একটিসহ মোট ৫৮টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি দুইটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে মোট ২৯ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে। এদের মধ্যে ৭ প্লাটুন কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর এলাকায়, ১০ প্লাটুন টঙ্গী এলাকায় এবং ১২ প্লাটুন জয়দেবপুর, বাসন চান্দনা চৌরাস্তা ও কাউলতিয়া এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে।
এ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং এবং পোলিং অফিসার (ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৮ হাজার ৭০৮জন। এছাড়া ভোটার সচেতন এবং শিক্ষিত ও শহরকেন্দ্রিক ৬ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে-ইভিএমে ভোট নেয়া হবে। যান্ত্রিক জ্ঞান-সম্পন্ন মানুষ যাতে বুঝে-শুনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেজন্য নগরীর ওই দুটি ওয়ার্ডকে বেছে নেয়া হয়েছে।
এই নির্বাচনে ৬ জন দলীয়সহ ৭জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছে। আর কাউন্সিলর পদে ২৫৪জন সাধারণ প্রার্থী ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮৪জন প্রার্থী রয়েছেন।
গাজীপুরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার নির্বাচনী এলাকায় সব ব্যাংক ও নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক দুটি সার্কুলারে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপরিভিশন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের এ সার্কুলারে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্ব স্ব ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোট গ্রহণের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকসমূহের আঞ্চলিক কার্যালয়সহ সকল শাখা ২৬ জুন (মঙ্গলবার) বন্ধ থাকবে। নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার পোশাক কারখানাসহ সব কলকারখানা বন্ধ থাকবে বলে ইতোমধ্যে তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিআরটিএ এবং গাজীপুরের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

 

 



 

Show all comments
  • kazi Nurul Islam ২৬ জুন, ২০১৮, ২:৪৯ এএম says : 0
    Only Awamileage. B.N.P. protique dea news capea other party shathay partiality kora hoy nai ki ?
    Total Reply(0) Reply
  • Ruhul Amin ২৬ জুন, ২০১৮, ২:৫৪ এএম says : 0
    আমি নিশ্চিত বলতে পারি বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Zakir Hossain ২৬ জুন, ২০১৮, ২:৫৪ এএম says : 0
    নৌকার বিজয় হবে ইনশাল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Mahdi Hasen ২৬ জুন, ২০১৮, ২:৫৬ এএম says : 0
    দিন শেষে নিউজ : আওয়ামীলীগ বিপুল সংখ্যক ভোটে জয়ী।। দুই একটি কেন্দ্রে হতাহতের ঘটনা ছাড়া তেমন কিছুই হয়নি,,, জয়ী লীগ : নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে,,জনগন যোগ্য নেতাকে ভোট দিয়েছে ,,, বিএনপি :: নির্বাচনে কারচুপি আছে,,, আবার নির্বাচন হউক,, জনগন ::: ভোটই তো দিতে পারলাম না!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গাজীপুর সিটি নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ