রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাতক্ষীরা থেকে আক্তারুজ্জামান বাচ্চু : সাতক্ষীরার সীমান্ত নদী ইছামতির বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থানে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন দেবহাটা উপজেলার গ্রামবাসীরা। যদি পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায় তাহলে উপজেলার নাংলা, ছুটিপুর, ঘোনাপাড়াসহ কয়েকটি গ্রাম ইছামতি নদীতে তলিয়ে যেতে পারে। নষ্ট হতে পারে ফসলি জমি ও মাছের ঘের। ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো ঘটনা।
জানা যায়, দেবহাটা উপজেলার চরকোমরপুর, ভাতশালা, টাউনশ্রীপুর, সুশীলগাতী, শীবনগর ও নাংলাসহ কয়েকটি স্থানের রেড়িবাধে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষ এবং গুটিকয়েক মানুষের ঠেলা জাল নদীতে ফেলার কারণে এবং প্রভাবশালী মহল ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীপাড় থেকে বালু তোলার কারনে নদীর বাঁধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত বছর ভাঙন কবলিত স্থানে সামান্য পরিমানের যে কাজ করা হয়েছিলো, সেসব স্থানসহ নতুন নতুন স্থানে আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, স্থানীয় কিছু বর্তমানে উপজেলার সুশীলগাতি ও কোমরপুর এলাকায় মেশিনের সাহায্যে বালু তোলা হচ্ছে। বড় ধরণের কোন জোয়ার বা জোরে বৃষ্টিপাত হলেই এখানকার রেড়িবাধগুলো ভেঙে তলিয়ে যেতে পারে গ্রামের পর গ্রাম।
মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ রেড়িবাধগুলোর মধ্যে রয়েছে নাংলা ছুটিপুর, সুশীলগাতী এলাকার বিজিবি পোস্টের সামনে, টাউনশ্রীপুর ও ভাতশালা। এসব জায়গায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নাম মাত্র সংষ্কার কাজ করে থাকে পাউবো কর্তৃপক্ষ। গ্রামবাসীরা আরো জানান, চিংড়ি চাষীরা খেয়াল খুশী মতো মূল বাঁধের গা ঘেষে ছোট ঘের করায় মুল বাঁধের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। এছাড়া, প্রকাশ্যে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ও নদীর মাটি কেটে নিয়ে বেড়িবাঁধের চরম সর্বনাশ করলেও প্রশাসন রয়েছে নীরব ভ’মিকায়।
এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজন ইনকিলাবকে জানান, ইছামতি নদীর রেড়িবাঁধটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তারা সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড- ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু অনেক দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমনকি স্থাণীয় সংসদ সদস্য এব্যাপারে দ্রæত পদক্ষেপ নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বললেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
পানি উন্ন্য়ন বোর্ড ১ এর আওতাধীন ৩ নং ফোল্ডারের সার্ভেয়ার অফিসার ওবায়দুল হক মল্লিক জানান, নাংলা এলাকার বাঁধ সংস্কার এবং পাকা বøক দেয়ার জন্য প্রজেক্ট দেয়া আছে। বাজেট পাওয়া গেলেই কাজ শুরু হবে।
এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত গ্রামবাসী নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশের ভূখন্ড রক্ষাসহ তাদের বাড়ি-ঘর ও সম্পদ রক্ষার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার ১৩৮ কিলোমিটার সীমান্তের অধিকাংশই ইছামতী নদী দিয়ে বেষ্টিত। জেলার পশ্চিমে বয়ে যাওয়া ভারত বাংলাদেশ বিভাজনকারি সীমান্ত নদী ইছামতীর শুধু বংলাদেশ পাড়েই ভাঙছে। দীর্ঘদিনের নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে অনেকেই বাড়ি-ঘরসহ সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন। দেশের মানচিত্র থেকে মুছে গেছে অনেকখানি জায়গা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।