মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ডেলিগেট ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার তিনি ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মি. ক্রুজ যেভাবে কলোরাডোয় সবগুলো ডেলিগেট ভোট নিয়ে গেলেন তাতে আমি ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, সেখানে ডেলিগেটরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিতে পারেননি। আমার বিরুদ্ধে কুটিল এক চক্রান্তের অংশ হিসেবে ক্রুজকে পছন্দ করা হয়েছে। বিষয়টা পুরোপুরি কারচুপি। এভাবে গণতন্ত্র কাজ করে না।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে আধুনিক পদ্ধতিতে দলীয় কনভেনশনের আগে প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রতিটা অঙ্গরাজ্যে ভোটের প্রচলন রয়েছে। কিন্তু কলোরাডো অঙ্গরাজ্য নিজেদের কনভেনশন অনুযায়ী ভোটের এ প্রক্রিয়াকে এড়িয়ে গেছে। প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় মোট ডেলিগেট ভোটে এখন পর্যন্ত নিউইয়র্কের ধণাঢ্য ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পই এগিয়ে রয়েছেন। তার ঝুলিতে জমা পড়েছে ৭৪৩টি ভোট। টেড ক্রুজ পেয়েছেন ৫৪৫টি ভোট। আর রিপাবলিকান দলে প্রার্থীতার দৌড়ে তৃতীয় ও সর্বশেষ অবস্থানে থাকা জন কাসিচের পক্ষে রায় দিয়েছেন ১৪৩ জন ডেলিগেট। এখনো এ দলে ভোট দিতে বাকি রয়েছেন ৮৫৪ জন ডেলিগেট। মনোনয়নের দৌড়ে উৎরে যেতে একজন প্রার্থীকে ন্যূনতম ১,২৩৭টি ডেলিগেট ভোট পেতে হবে।
প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যে ব্যক্তি ন্যূনতম সংখ্যক ডেলিগেট ভোট পেয়ে উৎরে যাবেন, আসছে জুলাইয়ে দলীয় কনভেনশনে তাকেই মনোনয়ন দিতে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। কেউ ন্যূনতম ভোট নিশ্চিত করতে না পারলে এ কনভেনশনে ফের ভোটের আয়োজন করা হবে। এক্ষেত্রে দেশজুড়ে ডেলিগেটদের অনেকেই ফের ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ডেলিগেটরা দুই দফায় ভোট দেবেন। এর মধ্যে প্রথম দফায় দলীয় নীতিনির্ধারকদের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোট দিতে হবে। আর দ্বিতীয় দফায় তারা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সরাসরি না বললেও ট্রাম্প আসলে জুলাইয়ের চ্যালেঞ্জকে ভয় পাচ্ছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কোনো কারণে মনোনয়নের এ দৌড়ে তিনি উৎরে যেতে না পারলে জুলাইয়ের দলীয় কনভেনশনে তার জন্য ব্যর্থতাই অপেক্ষা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ, রিপাবলিকান দলের সিনিয়র নেতারা ট্রাম্পকে প্রার্থী হিসেবে পছন্দ করছেন না। বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা এরইমধ্যে ট্রাম্পের বিপক্ষে সরাসরি কথা বলতে শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ টেড ক্রুজ। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।