রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
প্রায় ১৭ লাখ জনসংখ্যা অধ্যূষিত পটুয়াখালী জেলার প্রত্যন্ত এলাকার জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ১৬৫ জন চিকিৎসকের অনুকূলে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৬০ জন চিকিৎসক, শূন্য রয়েছে ১০৫ জন চিকিৎসকের পদ।এ ছাড়াও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে ৫৮ টি চিকিৎসকের অনুকূলে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২২জন শূন্য পদের সংখ্যা ৩৭ টি। পর্যটন কেন্দ্রকুয়াকাটার ২০ শয্যা ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাঠালতলী ২০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার ৮ টি উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র, উপ-স্বাস্থ্্য কেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসকদের শূন্যপদের বিপরীতে জনবলেরর অভাবে চিকিৎসার বেহাল অবস্থ্া বিরাজ করছে।
জেলার সদর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের মধ্যে ৬ টির চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে বাকি ৬টির কর্মরত ডাক্তার পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও ২৫০ বেড হাসপাতালে সংযুক্ত থাকায় স্থানীয় জনসাধারন কাংখিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দুমকী উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ ৪ টি ইউনিয়নের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র ও সাব-সেন্টারেরর স্বাস্থ্যবিভাগের চিকিৎসকের ৭টি পদের মধ্যে ৩ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন যার মধ্যে ১ জন বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ১ জন পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সংযুক্ত থাকায় ঐ এলাকার জনগন কাংখিত সেবা পাচ্ছেনা। মির্জাগঞ্জ উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ২০ শয্যার কাঠালতলী হাসপাতাল ও ৬টি ইউনিয়নের ৩টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ওপরিবার কল্যান কেন্দ্রে ও ২ টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিভাগের ২১ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৬ জন ১৫ জনের পদ শূন্য এর মধ্যে কাঠালতলী ২০ শয্যা হাসপাতালের ৬ টি চিকিৎসকের ৬টিই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় ঐ এলাকার জনগন কাংখিত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেনা।বাউফল উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ১৫ ইউনিয়নের ৩টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র , ও১২ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ওপরিবার কল্যান কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিভাগের ২৪ টি চিকিৎসকের পদের মধ্যে ৭ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন , ১৭ জনের পদ শূন্য রয়েছেযার মধ্যে ১২ টি ইউনিয়ন ও১টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোন চিকিৎসকই কর্মরত নাই।কলাপাড়া উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার ২০ শয্যা হাসপাতাল সহ ৮ টি ইউনিয়নের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র, ১ টি সাব সেন্টারে স্বাস্থ্যবিভাগের ৩৬জন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১৩ জন চিকিৎসক, ২৩ জনেরই পদ শূন্য।দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্র ও৬টি ইউনিয়নের ১৬ জন চিকিৎসকের পদের অনুকূলে কর্মরত রয়েছেন ৬ জন শূণ্য রয়েছে ১০ জন চিকিৎকের পদ এর মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ওপরিবার কল্যান কেন্দ্রে স্বাস্থ্য বিভাগের কোন চিকিৎসক কর্মরত নেই।এ ছাড়াও জেলার চরাঞ্চল, নদী ওসাগর বেষ্টিত গলাচিপা ও রা্গংাবালীর চিকিৎসা ব্যবস্থা ভায়াবহ, নবগঠিত রাঙ্গাবালী উপজেলায় কোন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্ল্ক্স্রে না থাকায় সেখানকার জনগনকে জীবনের ঝুকি নিয়ে পাশ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলায় আসতে হয়।রাঙ্গাবালীর ১টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে ১ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছে। এ দিকে গলাচিপার ১২টি ইউনিয়ন ওরাঙ্গাবালীর ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৪টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র, ১৩ টিইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ওপরিবার কল্যান কেন্দ্রে স্বাস্থবিভাগের চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৩৯ টি কর্মরত রয়েছেন ১৫ জন ২৪ জনের পদই শূন্য। রাঙ্গাবালীর ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছে।
জেলা কারাগার ও পুলিশ হাসপাতালে কোন চিকিৎসক কর্মরত নেই, চালানো হচ্ছে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে।
সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের। যেখানে জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন, সেখোনে ৫৮ জন চিকিৎসকের পদের অনুকূলে মাত্র কর্মরত রয়েছেন ২২ জন চিকিৎসক। এর মধ্যে ২ জন মেডিকেল অফিসার আবার পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজে সংযুক্ত রয়েছেন। এ ছাড়া সিনিয়র কনসালটেন্টের ১০টি পদের মধ্যে ৬টি পদই শূণ্য রয়েছে প্রায় এক দশক ধরে। এর মধ্যে রয়েছে মেডিসিন, গাইনী, চক্ষু, চর্ম ও যৌন, কার্ডিওলোজি এবং অর্থোপেডিক। জুনিয়ার কনসালটেন্ট’র ১৩টি পদের মধ্যে ৫টি পদ শূণ্য রয়েছে। এগুলো হচ্ছে চক্ষু, প্যাথলজি, শিশু, ফিজিশিয়ান ও আবাসিক সার্জন।
বছরের পর বছর ধরে চিকিৎসক পদ শূণ্য থাকায় উপকূলীয় পটুয়াখালী জেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলা হাসপাতালগুলোর চিত্র আরও ভয়াবহ। মঞ্জুরিকৃত পদের অর্ধেক ডাক্তারই নেই জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে।
সাগর পাড়ের জেলার অসহায় মানুষের সর্বশেষ চিকিৎসার স্থান সরকারী হাসপাতাল গুলির চিকৎসক সংকটের এ ভয়াবহ রুপ অসহায় মানুষকে নিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত জীবনের হুমকির দিকে।এ সব অসহায় মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার্থে চিকিৎসকের শূন্য পদগুলি জরুরী ভিক্তিতে পূরন করা দরকার বলে সচেতন মহল মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।