বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা : শিশু গৃহকর্মী জাহিদুল ইসলাম শাওন (১২) নির্যাতনের ঘটনায় গৃহকর্তা এখনও পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃত তিনজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আহত শিশু শাওনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গৃহকর্তার পরিবারের পক্ষ থেকে শাওনের বাবাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রমনা থানার এসআই হেলাল উদ্দিন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, শিশু গৃহকর্মী শাওন নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হলে গৃহকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বাহার ও তার স্ত্রী এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে গ্রেফতারকৃত ৩জনকে গত বৃহস্পতিবার রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হলে আদালত আসামীদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শিশু শাওনের হাত-পা, পিঠ, পায়ের তলায় ভোতা অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। উল্লেখ গত ২০ জুন বুধবার সন্ধ্যায় বাথরুমে প্রবেশ করে ভেন্টিলেটর দিয়ে বের হয়ে প্লাস্টিকের পাইপ বেয়ে ১১ তলা থেকে নিচে নেমে আসেন শাওন। এলাকাবাসীর চিৎকার- চেঁচামেচিতে টের পেয়ে যান গৃহকর্তা। এসে শাওনকে গার্ডরুমে আটকে মারধর শুরু করেন পরিবারের লোকজন। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় একজন জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ এ ফোন দেন। পরে দ্রæত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় রমনা থানা পুলিশ। শাওনকে উদ্ধার করার পাশাপাশি আটক করা হয় তিনজনকে। তারা হলেন- ইকবাল (গৃহকর্তার শ্যালক), তার স্ত্রী তামান্না খান ও তানজিলুর রহমান (ইকবালের ভাগ্নে ও গৃহকর্তার ছেলে)। তবে গৃহকর্তা ও তার স্ত্রী এখনও পলাতক রয়েছে।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গৃদকালিনদিয়া সাহেগঞ্জের বাসা থেকে ছেলে নির্যাতন ও চুরির অভিযোগে আটক করার খবর পেয়েই ছুটে আসেন শাওনের বাবা জাহিদুল হোসেন কালু (৪২)। জাহিদুল হোসেন কালু সাংবাদিকদের জানান, ওরা আমার ঢাকায় আসার খবর শুনেছে। বিভিন্ন জনকে দিয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে নেয়া ও পুলিশি ঝামেলায় না জড়াতে হুমকি দিচ্ছে। আমি গরীব। আমার সামর্থ্য ছিল না বলেই ছেলেকে ওদের হাতে গত নভেম্বরে তুলে দিছিলাম। কিছু কাজ কর্মের মধ্যে যদি ওর পড়াশুনাটা হয়। কিন্তু ভাগ্য খারাপ। ওরা আমার ছেলেকে স্কুলে তো ভর্তি করায়নি উল্টা নির্যাতন করেছে। আমি খোঁজ খবর নিতে চাইলেও খবর দেয়নি। চুরির অভিযোগ তুলছে। প্রতিবাদ করায় আমাকে গত ৬ জুন নারায়ণগঞ্জের খানপুর নিউ ব্যাংক কলোনির বাসায় ডেকে নিয়ে বেধরক পেটায়।
তিনি আরো বলেন, গৃহকর্তা মোজাম্মেল হক বাহারের বউ তামান্না খান মিলি, ছেলে তানজিলুর রহমান এবং ভায়রা ইকবাল হোসেন সোহাগ ও তার স্ত্রী মিলে প্রচুর নির্যাতন করেছে ছেলেকে। থানার ওসি আমাকে অভয় দিয়েছে। পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে। ওদের তিনজন আটক আছে। আমি ও আমার ছেলে নির্দোষ। আমাকে ও আমার ছেলেকে যারা নির্যাতন করেছে তাদের বিচার চাই। মানুষ হয়ে মানুষকে এভাবে কেউ মারতে পারে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।