নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী : প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠানে লটারি ভাগ্যে কাগজে কলমে এখন সেরা দল আবাহনী। যে দুই তারকা ক্রিকেটারের উপর থেকে আবাহনী অফিসিয়ালরা দীর্ঘ ক’বছর ফিরিয়ে নিয়েছিলেন মুখ, বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রধান ২ বিজ্ঞাপন সাকিব-তামীমকে লটারি ভাগ্যে পেয়েছে আবাহনী। শুধু পছন্দের ক্রিকেটার সংগ্রহে টেক্কা মারেনি, প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের আসন্ন আসরে প্লেয়ার্স পেমেন্টেও সবাইকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে আবাহনী। ২ আইকন ক্রিকেটার, ‘এ’ গ্রেডের ২ জন, ‘বি’ প্লাস গ্রেডের ৪ জন, ‘বি’ গ্রেডের ২ জন এবং ‘সি’ গ্রেডের ৩ ক্রিকেটারকে দলে টেনেছে সবচেয়ে বড় বাজেটের এই ক্লাবটি। প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠানের হিসেব অনুযায়ী প্লেয়ার্স পেমেন্ট খাতে দলটির শুধু খরচ হবে ২ কোটি ৮ লাখ টাকা।
বাজেটের দিক থেকে আবাহনীকে ভালোই টেক্কা দিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দলে কোন আইকন ক্রিকেটারকে না পেলেও এই দলটি প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠানে ‘এ’ প্লাস গ্রেডের ২ ক্রিকেটার, ‘এ’ গ্রেডের ২ ক্রিকেটার, ‘বি’ প্লাস গ্রেডের ৪ ক্রিকেটার, ‘বি’ গ্রেডের ২ জন এবং ‘সি’ গ্রেডের ৪ ক্রিকেটারকে নিয়েছে দলে। প্লেয়ার্স পেমেন্ট খাতে তাদের বাজেট দাঁড়াচ্ছে ২ কোটি ৬ লাখ টাকা।
২ কোটির ঘরে নেই অন্য কোন দল। তবে এবার খেলোয়াড় সংগ্রহে বাজেটের অংকে আবাহনী ও রূপগঞ্জের পেছনে থাকছে মোহামেডান। আইকন এবং ‘এ’ প্লাস গ্রেডের এক ক্রিকেটার ছাড়াও তাদের সংগ্রহে আছে ‘এ’ গ্রেডের একজন, ‘বি’ প্লাস গ্রেডের ৩ জন, ‘বি’ গ্রেডের ৪ জন, ‘সি’ গ্রেডের ১ জন এবং ‘ডি’ গ্রেডের এক ক্রিকেটার।
উন্মুক্ত দল-বদলে যে তিনটি ক্লাব কর্তাদের আগ্রহে ক্রিকেটারদের সম্মানীর অংক জ্যামিতিক হারে বেড়ে যাওয়ার অতীত আছে, সেই তিনটি ক্লাব প্রাইম ব্যাংক, প্রাইম দোলেশ্বর এবং গাজী গ্রæপ এবার প্লেয়ার্স বাই চয়েজে খেলোয়াড় সংগ্রহে টেক্কা দিতে পারেনি। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের প্লেয়ার্স পেমেন্ট যেখানে সর্বশেষ মৌসুমে ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৩ কোটি টাকা, এবার তারা তারুণ্যনির্ভর দল গঠনে ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকায় সীমিত রাখতে পারছে বাজেট। প্রাইম দোলেশ্বরও নিয়মের গ্যাড়াকলে পড়ে এবার বিগ বাজেটের দল গঠন করতে পারেনি। ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা বাজেটে থমকে গেছে তাদের খেলোয়াড় সংগ্রহ।
লটারি ভাগ্যটা বড্ড খারাপ ছিল বলে আইকন গ্রেডের ক্রিকেটার নিতে পারেনি গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্স। ১৪ রাউন্ডের লটারিতে একবারও জিততে পারেনি তারা। ফলে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় সীমিত রাখতে পেরেছে এই কর্পোরেট হাউজটি তাদের দল। কলাবাগান ক্রীড়াচক্র, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, শেখ জামাল ধানমন্ডি ভিকক্টোরিয়ার বাজেট ঘোরা ফেরা করেছে ১ কোটি ৬০ লাখ থেকে কোটি ৬৩ লাখ টাকার মধ্যে। গতবার কলাবাগান একাডেমির মালিকানা কিনে গাজীপুরের নির্বাচিত মেয়র অধ্যাপক আবদুল মান্নানের ছেলে মানজারুল করিম রনি বিগ বাজেটের দল তৈরি করে ফেলে দিয়েছিলেন হৈ চৈ। মালিকানা পরিবর্তে দাবিকৃত ২৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে প্লেয়ার্স ড্রাফটে দলটির অংশগ্রহণ ছিল শুধুই নামমাত্র। আইকন এবং ‘এ’ প্লাস গ্রেডের কোনো ক্রিকেটার সংগ্রহ করেনি দলটি। এমনকি দলটি নেয়নি ‘এ’ গ্রেডের কোনো ক্রিকেটারও। দলটি সংগ্রহ করেছে মাত্র ১২ ক্রিকেটার। যার মধ্যে ‘বি’ প্লাস গ্রেডের ক্রিকেটার ২ জন, ‘বি’ গ্রেডের ৪ জন, ‘সি’ গ্রেডের ৩ জন, ‘ডি’,‘ই’ এবং ‘এফ’ গ্রেডের ১ জন করে ক্রিকেটার টেনেছে দলটি!
বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট অধিনায়ক সর্বশেষ মৌসুমে আর্থিক সহায়তা করায় বড় বাঁচা বেঁচে গিয়েছিল ক্রিকেট কোচিং স্কুল (সিসিএস) অফিসিয়ালরা। তবে প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ার ডিভিশনে উঠে বড় ধরনের আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে সিসিএস। অপরিহার্য তালিকায় ঘরের ছেলে সাইফ হাসান এবং মোহাম্মদ সফিউদ্দিনকে পেয়েছে, বাইন্ডিংস খেলোয়াড় পিনাক ঘোষকে পেটে ভাতে পাচ্ছে দলটি। তারপরও প্লেয়ার্স ড্রাফটে বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ ছাড়া কিইবা করার আছে দলটির। ব্যাংক এশিয়ার কাছে দলটির বিক্রির প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবার পর দুর্জয় আগ্রহ দেখানোয় তার হাতেই ক্লাবটি তুলে দিতে চেয়ে এখন বড্ড বিপাকে পড়েছেন ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ইউসুফ চৌধুরী নিকু। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে অংশগ্রহণের পাশাপাশি দল বিক্রির জন্য হন্নে হয়ে ঘুরছেন তিনি। আইকন,‘এ’ প্লাস, ‘এ’ ক্রিকেটারদের দলে টানার সাহসই পাননি তিনি। প্লেয়ার্স ড্রাফট টেবিলে ১০ম রাউন্ড থেকে ত্রয়োদশ রাউন্ড পর্যন্ত কাউকে ডাকার প্রয়োজন মনে করেনি ক্লাবটির অফিসিয়ালরা। তারপরও প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠানে খেলোয়াড় সংগ্রহে বাজেট দাঁড়াচ্ছে ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকাÑএই পরিমাণ অর্থের যোগান পাবে কীভাবে? এটাই দুর্ভাবনায় ফেলেছে ক্লাবটিকে। প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠান শেষে ক্রিকেটারদের সাথে চুক্তি সম্পদনের বাধ্যবাধ্যকতা তো আছেই, মোট প্লেয়ার্স পেমেন্টের ৫০ শতাংশ ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে চেক জমা দিতে হবে বিসিবিকে ! এটাও যে বড় ধরনের দুর্ভাবনায় ফেলেছে দলটিকে। সিসিডিএম এবং বিসিবি’র অনুদানে প্লেয়ার্স পেমেন্টের এক তৃতীয়াংশ উঠে যাবে, কিন্তু অবশিষ্ট অর্থ আসবে কীভাবে?
প্লেয়ার্স পেমেন্ট কার কত দাঁড়াচ্ছে
ক্লাব বাজেট (টাকা)
আবাহনী লিমিটেড ২ কোটি ৮ লাখ
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ২ কোটি ৬ লাখ
মোহামেডান স্পোর্টিং ১ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১ কোটি ৭৮ লাখ
গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্স ১ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার
কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ১ কোটি ৬৮ লাখ
শেখ জামাল ধানমন্ডী ১ কোটি ৬৩ লাখ
ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ১ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব ১ কোটি ৬১ লাখ
প্রাইম দোলেশ্বর ১ কোটি ৬০ লাখ
কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমী ১ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার
সিসিএস ৭৫ লাখ ৫০ হাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।