Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সীতাকুন্ডে জমেছে ঈদের বাজার

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সীতাকুন্ডে ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন সপিং মলগুলোতে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভীর লক্ষ্যকরা গেছে। রোদ বৃষ্টি অপেক্ষা করে তাদের যার যার পছন্দের পণ্য ক্রয় করতে এখানকার মার্কেট গুলোতে শিশুসহ সকলেই ভীর জমাচ্ছে। ক্রেতারা জানান, সকালে দোকান খোলার শুরু থেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন সপিং মল গুলোতে দলে দলে অবস্থান করছে। সীতাকুন্ড কলেজ রোডস্থ বদিউল আলম নিউ মার্কেট এর দ্বিতীয় তলায় শাড়ী বাজার এর মালিক বাবলু চক্রবর্তী বলেন,প্রথম অবস্থায় তেমন বিক্রি হয়নি। তাই আমরা অনেকটা হতাশ হয়ে পড়ে ছিলাম। মুলত রোজা ১৫টি চলাকালে বিক্রি শুরু হয়। এবছর বেনারশি,হাইব্রীড, ঢাকাইয়া হাফ শিল্ক, কাতান, দেশীয় তাঁত,পাটি,বেঙলো, জামদানিসহ আরো অন্যান্য শাড়ী সপিংমল গুলোতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ইন্ডিয়ান থ্রি পিজ লাছা,কেটরিনা, গ্রাউন,হামছা,,ব্রুটিক্স,চেন্নায়সহ দেশি বিদেশী বিভিন্ন রকম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। তবে গত বছর দেশীয় পোশাকের চাহিদা থাকলেও এবছর ইন্ডিয়ান কাতান শাড়ী ও ইন্ডিয়ান থ্রি পিজের দিকে নারীরা বেশী ঝুঁকছেন। তিনি বলেন,এখন বিক্রি ভাল হচ্ছে। বিকেলের দিকে ক্রেতাদের ভীর থাকে বেশী। এদিকে ঈদের কাপড় কিনতে উপজেলার বটতল থেকে আসা সীতাকুন্ড মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তানজিনা আক্তার বলেন,এ বছর গ্রাউন ও লাছা থ্রি পিজের চাহিদা একটু বেশি। তাই আমি দুটোর থেকে একটি কেনার ইচ্ছে আছে। তবে এবছর নতুন নতুন অনেক ডিজাইনের কাপড় আসছে মার্কেটে। অন্যদিকে ক্রেতা সাহিনুর বলেন,একটি কাতান শাড়ী সাড়ে ৪ হাজার ও থ্রি পিজ নিয়েছি ১৮শ’ টাকা দিয়ে। তিনি বলেন অন্যান্য সপিং মল গুলো থেকে সীতাকুন্ডে প্রত্যেকটি পণ্যের মূল্য কিছুটা কম আছে। তাই আমরা সীতাকুন্ড মার্কেট ছাড়া বাইরে সপিং করতে তেমন যাইনা। একই দোকানে আসা ক্রেতা রামেনা বেগম জানান, প্রতিবছর ঈদের কেনাকাটা করতে মিরসরাই নিজামপুর থেকে এখানে আসেন। তিনি বলেন, অন্যান্য স্থান থেকে এ উপজেলায় কাপড়ের মূল্য অনেকটা কম বলে চলে আসি। সিএনজি অটো রিক্সা মহাসড়কে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কেনাকাটা করে তারাতারি মার্কেট থেকে বের হয়ে যেতে হয়। অন্যদিকে কলেজ রোডস্থ মরিয়ম প্লাজার আলিফ দোকানের মালিক মোঃ হেলাল বলেন,দোকানে বেচা কেনা গত ৪দিন থেকে শুরু হয়েছে। কিন্তু গত বছর রোজা ২০টি থাকতে বেচা কেনা শুরু হয়েছিল। তিনি বলেন কাতান,হাফ শিল্ক শাড়ী ও থ্রি পিজ কাটরিনা,গ্রাউন ও লাছার দিকে মহিলা ক্রেতারা বেশী ঝুঁকছেন। বর্তমানে কেনা কাটা অনেক ভাল হচ্ছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে ক্লাসিক কালেকশনের মালিক আলী বক্কর ও বিভিন্ন দোকানের মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,তাদের বিক্রি এখন অনেক জমজমাট। তাই এসময়ে বৃষ্টি না হলেই ভাল। বৃষ্টি হলে ক্রেতারা মার্কেটে আসতে চায়না এবং তারা বৃষ্টি মোটেই আসা করছেন না। সরেজমিন সীতাকুন্ড বাজার ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে শিশুদের বিভিন্ন রকম কাপড় থেকে শুরুকরে আরো অন্যান্য প্রশাধনী ক্রয়ের জন্য প্রত্যেক দোকানে ভীর করছে ক্রেতা সাধারণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জমেছে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ