পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের বিউটি পার্লার গুলোতে রূপসজ্জার নামে চলছে প্রতারণা। রূপসজ্জার নকল ও কম দামী প্রসাধনী ব্যবহার করে নানা প্রলোভন দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে নামকরা বিউটি পার্লারগুলো ক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এসব নকল ও নি¤œমানের প্রসাধনী ব্যবহার করার পর মহিলাদের স্কিন আরো নষ্ট হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। উচ্চ শ্রেণীর অভিজাত পরিবারের মহিলাদের কাছে অতি পরিচিত নামকার বিউটি পার্লার পারসোনা। রাজধানীর গুলশান ধানমন্ডিসহ অভিজাত এলাকায় রয়েছে এ প্রতিষ্টানটির বিলাসবহুল বিউটি পার্লারের শোরুম। আর ওই বিউটি পার্লারেই ব্যবহার করা হচ্ছে নি¤œ মানের ও নকল প্রসাধনী। এ জন্য প্রতিষ্টানটিকে কয়েক দফায় জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তারপরেও তাদের প্রতারণা বন্ধ হচ্ছে না। বরং বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে বিশেষ করে ঈদকে সামনে রেখে নকল প্রসাধনী ব্যবহারের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। গত দুই দিন আগে রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে ছেলে ও মেয়েদের পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠিত পার্লারটিতে বিভিন্ন অভিযোগে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই অভিযোগে এ সময় ওই এলাকার আরও একটি পার্লারকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, পারসোনা রূপসজ্জায় যেসব প্রসাধনী ব্যবহার করছে ধরে নিলাম সবই বিদেশি। কিন্তু বিদেশি হলেও দুটি সমস্যা সেখানে দেখা গেছে। এর মধ্যে একটি পণ্যের গায়ে বাংলা বা ইংরেজি কোনো ভাষাতেই লেখা নেই। অন্য একটি ভাষায় লেখা যা তারা নিজেরও জানে না কোন দেশি পণ্য। তাই এটা অরজিনাল কি ভেজাল সেটা চিহিৃত করা দুরূহ ব্যাপার। আর দ্বিতীয়টি হলো বিদেশি পণ্য হলে অবশ্যই তা কেউ আমদানি করে আনবে। আর সেখানে আদমাদিকারক প্রতিষ্ঠানের একটি স্ট্রিকার থাকার কথা। কিন্তু তাদের পণ্যের গায়ে এ ধরনের কোনো তথ্য দেওয়া ছিল না। ফলে সেটা আমরা ধরে নেব ভ্যাট ট্রাক্স ফাঁকি দিয়ে আনা অথবা লোকাল তৈরি করে তারা বলছে এটা বিদেশি। তাই এটা ভেজালও হতে পারে। এসব অভিযোগে তাদের দুটি প্রতিষ্ঠানকে (ম্যান ও উইমেন) তিনটি ধারায় চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
একই অভিযোগে এসময় ধানমন্ডির ‘ফারজানা শাকিল পার্লার’কে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মনজুর মোহাম্মদ বলেন, নামকরা বিউটি পার্লার পারসোনা রূপসজ্জায় নকল প্রসাধনী ব্যবহার করছে এটা মানা যায় না। একই সঙ্গে দেশে তৈরি নকল ও ভেজাল পণ্যকে বিদেশি পণ্য বলে গ্রাহকের সঙ্গে তারা প্রতারণা করে আসছিল। এমনিক ত্বকের জন্য ক্ষতিকর মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী ব্যবহার করছিল মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসকে পুঁজি করে। আর তারই সবই বাড়তি মুনাফার লোভে।
প্রসাধনীর মূল্য তালিকা বা উৎপাদন তালিকা না থাকায় আরো একটি প্রতিষ্টানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা প্যাকেটজাত বিধিমালা ভঙ্গ করা পণ্য বিক্রি করত। এর মধ্যে পণ্যের গায়ে মেয়াদ বা উৎপাদনের তারিখ, উপাদান, ব্যবহারবিধি, ক্রয় বিক্রয় মূল্য কোনো কিছুই ছিল না।
পারসোনার কর্ণধার বিউটিশিয়ান কানিজ আলমাস খান বলেন, আমার পার্লারে সব সময় নাম করা উন্নত মানের ব্রান্ডের প্রসাধণী ব্যবহার করা হয়। তবে কেন ভ্রাম্যমান আদালত বার বার জরিমাণা করছে এ প্রশ্নের কোন জবাব দেননি তিনি।
তিনি আরও বলেন, ভোক্তা অধিকার থেকে আমাদের সতর্ক করে জানানো হয়েছে, সব পণ্যে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) ও আমদানিকারকের স্টিকার থাকতে হবে। যেহেতু আগে কখনো তারা আমাদের বিষয়টি জানাননি। এজন্যই এই ধরনের ভুল হয়েছে। আগে যদি জানতাম তাহলে এ বিষয়ে তৈরি থাকতাম। বিষয়টি জানতাম না, তাই আমাদের ভুল হয়েছে।এছাড়াও অধিদফতরের পক্ষ থেকে পারসোনার যে নোংরা ছবি দেয়া হয়েছে সেটিকে ‘অন্য পার্লার’ বলে দাবি করেন তিনি। অভিযান তদারকি করেন অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এবং অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনী। সহযোগিতায় ছিল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান। বিদেশি পণ্য বলে রূপসজ্জায় নকল ও ভেজাল প্রসাধনী ব্যবহারের দায়ে গতকাল বিউটিশিয়ান কানিজ আলমাস খানের প্রতিষ্ঠান পারসোনাকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে বনানী-১১ নম্বর সড়কের পারসোনা বিউটি পার্লারে ‘স্পা› করাতে গিয়ে ড্রেসিং রুমে পোশাক পরিবর্তনের পরে কক্ষে সিসিটিভি দেখতে পান এক নারী। পরে এ বিষয়ে তিনি পারসোনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমে মৌখিক অভিযোগ আনেন। এ ঘটনায় সেসময় সমালোচনার শীর্ষে ছিল পারসোনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।