Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেছারাবাদে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে হাফডজন মাদক ব্যবসায়ী

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নেছারাবাদে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে উপজেলার লোকমুখে বহুল আলোচিত মাদক সম্রাট ফুয়াদসহ অর্ধ ডজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী । স্বরূপকাঠি পৌর এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় তেমন কোন জোড়ালো মাদক বিরোধী অভিযান না চলায় ফুয়াদসহ এসব মাদক ব্যবসায়ীরা রয়েছে বহাল তবিয়তে। তবে পুলিশের দাবী বিশেষ অভিযানে তারা কয়েকজন মাদক সেবি ও ব্যবসায়ী ধরেছে। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টা থাকলে ফুয়াদ আইনের হাত থেকে কোনমতে রেহাই পাবেনা। মাদকের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অভ্যাহত থাকবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ দেশব্যাপী মাদক বিরোধী কঠোর অভিযান শুরু হলেও ফুয়াদের বিরুদ্ধে পুলিশের ভ‚মিকা ডিলেঢালা থাকায় ওই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে। থানায় ফুয়াদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। ছোটখাট পুলিশী অভিযানকে পাত্তা দিচ্ছেন না এসব প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ীরা। ফুয়াদের সাথে আইনশৃংখলা বাহিনীর কিছু অসৎ সদস্যের যোগসুত্র আছে বলে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন আছে। যেকারনে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে প্রশাসনের কোন লোকই সহসা ফুয়াদকে ধরতে পারছেনা।এলাকাবাসীর দাবী মাদক সম্রাট ফুয়াদ গ্রেফতার হলে এলাকা অনেকটা মাদকমুক্ত হয়ে যাবে।
জানাগেছে স্বরূপকাঠি পৌর এলাকার দক্ষিন জগন্নাথকাঠি গ্রামের আকবর আলীর পুত্র ফুয়াদ হোসেন গত দেড়যুগ ধরে অব্যাহতভাবে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এরমধ্যে র‌্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে তিনি একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছে। তবে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে আবার বীরদর্পে সে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যে আমলে যে সরকার ক্ষমতায় আসছে সেই দলের স্থানীয় কোন না কোন রাজনীতির ছদ্দবেশধারী ক্যাডারদের আশ্রয়তলে থেকে সর্বজায়গায় ম্যানেজ করে ফুয়াদ রমরমা মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। জগন্নাথকাঠির আমিরহাজী বাড়ি ও মৌলভী বাড়ির এলাকায় রয়েছে ফুয়াদের আস্তানা। একই পাড়ার আরে এক ডজনেরও বেশী খুচরা সরবরাহকারী রয়েছে ফুয়াদের বাহীনিতে । মাদক বিক্রি করতে সে আরো প্রায় এক ডজন টিনএজ ক্যাডারকেও নতুন করে ব্যবহার করছে। এদিকে দাপটের সাথে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দক্ষিন স্বরূপকাঠির বহুল আলোচিত জাকারিয়া জাকু। অপরদিকে সেহাংগল এলাকার থ্রি স্টার মাদক ব্যবসায়ী শাকিল ও মুন্না এবং নুহাস দাপটের সাথে সদদেয়কাঠি, জুলুহারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবাধে মাদক ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
নেছারাবাদ, কাউখালি থানার সার্কেল এস,পি মো. শাহ্ নেওয়াজ জানান, মাদকের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। লোকমুখে শুনেছি ফুয়াদ একজন মাদক ব্যবসায়ী। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা পেলে ফুয়াদ আইনের হাত থেকে রেহাই পাবেনা। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।
প্রসংগত গত রোববার রাতে পিরোজপুর ডিবি পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয় সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ের ইন্দুরহাট এলাকার ওয়াহিদুজ্জামান নামে এক মাদক সম্রাট। ওয়াহিদ নিহত হওয়ার খবর জানার পরেও স্বরূপকাঠির এসব মাদক সম্রাটদের মধ্যে কোনো আতংক আছে বলে মনে হয় না। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকায় থেকেই গাঢাকা অবস্থায় সতর্কতার সাথে মাদক ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে বলে বিভিন্ন সুত্র জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ