Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে তালিকা ধরে অভিযান চলছে -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাসস | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৮, ৬:১৫ পিএম | আপডেট : ১২:০০ এএম, ১২ জুন, ২০১৮

মাদক সম্রাট বা মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা ধরে অভিযান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
আজ জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম পিনু খানের তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এ মাদক অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড রয়েছে। তবে বিদ্যমান আইনে কোন ব্যক্তির দখলে, কর্তৃত্বে বা অধিকারে মাদকদ্রব্য না পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ নেই। ফলে মাদক ব্যবসায় জড়িত মূল পরিকল্পনাকারীরা সহজেই পার পেয়ে যায়। এই আইনে মাদক ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষকতাকারী ও মাদকের গডফাদারসহ মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের লক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইনে মাদক ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষক ও মাদকের গডফাদারসহ মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ আইনে মাদক ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষকতাকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ তদন্তে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে।
তিনি জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ সকল আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। ২০১৭ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সকল সংস্থা ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৮৩ জন মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১৮ সালে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪০টি মামলায় ৩৫ হাজার ১১২ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। জেলা প্রশাসনও এ বিষয়ে সহযোগিতা করে অবৈধ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে।

 

 



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১২ জুন, ২০১৮, ৮:৩৬ এএম says : 0
    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এখানে যে হিসাব রেখেছেন এটা অবশ্য সরকারের সাফল্যের এক ইতিহাস এটা মানতেই হবে। তিনি বলেছেন গত বছর মানে ২০১৭ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সকল সংস্থা ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৮৩ জন মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৬টি মামলা দায়ের করেছে। এধরনের সংবাদ আমরা কখনো পত্রিকায় দেখিনি বা শুনিনি। মাদক ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে এত মামলা হবার পরও এর কোন ফল আমরা পাচ্ছি না কেন?? অভিজ্ঞজন মনে করেন আমাদের দেশের আইনজীবীদের কারনেই মাদক ব্যাবসায়িরা বহাল তবিয়তে রয়েছে। মানে আইনজীবীরা যদি তাদের মিথ্যার মাধ্যমে এসব মাদক ব্যাবসায়িদেরকে আইনের হাত থেকে না বাচাতেন তাহলে মাদক ব্যবসায়িরা তাদের ব্যাবসা চালিয়ে যেতে পারত না এটাই সত্য তাই না?? মন্ত্রী আরও বলেছেন ২০১৮ সালে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪০টি মামলায় ৩৫ হাজার ১১২ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। তবে তিনি বলেননি গ্রেফতার আসামীদের কতজন জামীন পেয়ে আবার বাহিরে এসেছে। আমাদের উকিলরা এসব আসামীদের বিভিন্ন পন্থায় জামীন পাইয়ে দিয়ে নিজেদের পকেট ভরেন এটাই সত্য তাই না?? এখন জাতী দেখতে চায় আমাদের আইনজীবীরা কতটা সৎ এবং জনগণের স্বার্থে মাদক ব্যাবসায়িদের বিপক্ষে কাজ করেন। আমরা দেখে আসছি আইনজীবীরা আইনের ফাক ফোকড় দিয়ে এসব মাদক ব্যাবসায়ীদেরকে রক্ষা করেন, এবার জাতী দেখতে চায় আইনজীবীরা এসব ঘৃণিত জাতীয় অপরাধী মাদক ব্যাবসায়িদেরকে সাহায্য করেন কিনা?? আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে সততার সাথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ