পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান শালিমার ওয়ার্কস লিমিটেডের কারিগরি পার্টনার হলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। সমপ্রতি কলকাতা রাজ্যের পরিবহন ক্লাবে উভয় দেশের প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে এ চুক্তি সম্পন্ন হয়।
ওয়েস্টার্ন মেরিন সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ‘জাতীয় নদীপথ এক’-এ চলাচলের জন্য ৬০টি জাহাজ নির্মাণ করতে চায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোম্পানি শালিমার ওয়ার্কস লিমিটেড। জাহাজগুলো নির্মাণে কারিগরি অংশীদারিত্বে থাকবে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, পরিবহন সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সমঝোতা স্মারকে সই করেন ওয়েস্টার্ন মেরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইঞ্জিনিয়ার মো. সাখাওয়াত হোসেন ও শালিমার ওয়ার্কস লিমিটেডের এমডি সোমদেব চট্টোপাধ্যায়। এ সময় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান ও ওয়েস্টার্ন মেরিনের পরিচালক ক্যাপ্টেন ফজলে রাব্বীসহ উভয় পক্ষের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দেশটির চারটি নৌ-রুটে আগামী ১০ বছরে মোট ৬০০ জাহাজ নামানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কলকাতা থেকে হলদিয়া ভায়া ফারাক্কা বারাসনি পর্যন্ত জাতীয় নদীপথে চলাচল করবে ৬০টি জাহাজ। এগুলো চালাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। প্রয়োজনীয় জাহাজ সরবরাহের দরপত্রে অংশ নেবে রাজ্য সরকারের কোম্পানি শালিমার ওয়ার্কস। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছে। দরপত্রে অংশ নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি সক্ষমতায়ও ঘাটতি আছে তাদের। এ কারণেই তারা কারিগরি অংশীদার হিসেবে ওয়েস্টার্ন মেরিনকে সঙ্গে নিয়েছে। দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত ১৫ বছরে অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য ১১১টি এবং ইউরোপসহ বিশ্বের অন্যান্য বাজারের জন্য ৩১টি জাহাজ নির্মাণে সাফল্য দেখিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ওয়েস্টার্ন মেরিনের অভিজ্ঞতা শালিমারকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে ওয়েস্টার্ন মেরিনের জন্যও ভারত থেকে রাজস্ব আয়ের একটি সুযোগ সৃষ্টি হবে। ওয়েস্টার্ন মেরিন এমডি ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, ৬০০ থেকে আড়াই হাজার টন সক্ষমতার একেকটি জাহাজ নির্মাণে ব্যয় হবে ৫ থেকে ২০ কোটি টাকা। এ হিসাবে দুই প্রতিষ্ঠান মিলে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার কাজ করবে। প্রকল্পে শালিমার ও ওয়েস্টার্ন মেরিনের অংশীদারিত্বের অনুপাত হবে ২৬ : ৭৪। আয়-ব্যয়, মুনাফা সবই এ অনুপাতে ভাগ করে নেবে দুই প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।