পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেজাউল করিম রাজু : দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদ। তাই শেষ সময়ের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। বাজার, বিপনী বিতান, শোরুম, নিউমার্কেট আর ফুটপাত সবখানেই ভীড়। চিরচেনা টান পোড়নের মধ্যে সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে চলছে কেনাকাটা। বিত্তবানদের বিলাসী কেনাকাটার পাশপাশি থেমে নেই মধ্যবিত্ত আর নি¤œবিত্তদের কেনাকাটা।
রাজশাহীর সবচেয়ে বড় বাজার সাহেব বাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, বর্তমানে ক্রেতাদের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে শাড়ি লুঙ্গি পাঞ্জাবী আর রেডিমেট পোশাক। এতদিন থ্রিপিস দাপট দেখালেও এখন বানানোর সময় নেই বলে ক্রেতার চাপ কমেছে এমনটি জানালেন এসবিটি ক্লথ স্টোরের চৌকস সেলসম্যান রাজীব। ভীড় বেড়েছে জুতো স্যান্ডেলের বাজারে। জামা প্যান্টের সাথে ম্যাচিং করে কেনা হচ্ছে এসব। বড় বড় শোরুমে যেমন রয়েছে পাঁচ সাত হাজার টাকা দামের জুতো স্যান্ডেল। তেমনি ফুটপাতে রয়েছে এক দেড়শো টাকা দামে জুতো স্যান্ডেল। কম দামের এসব জুতো স্যান্ডেল ডিজাইনের দিক দিয়ে বড় বড় কোম্পানীর চেয়ে কোন অংশে কম নয়। ক্ষেত্র বিশেষে অনেক ঝকঝকে। যদিও এসব কমদামের জুতো স্যান্ডেলের মান ও টেকসই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
ভীড় বেড়েছে কসমেটিক্সর দোকানে। এখানেও ম্যাচিং করে কেনাকাটা চলছে চুড়ি ফিতে ক্লিপসহ মেয়েদের বিভিন্ন সামগ্রীর। সাবান শ্যাম্পু, সুগন্ধী ফেস পাউডার নেইলপলিশ চুলের ব্যান্ড কিনতে ব্যাস্ত সময় পার করছে মেয়েরা। এনিয়ে রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটে প্রচন্ড ভীড়। গণকপাড়া মার্কেটের পাশপাশি সংলগ্ন রাস্তা ও ফুটপাতে কেনাকাটা চলছে। জুতো স্যান্ডেলের বাজার বলতে ভূবনমোহন পার্ক ও তার আশেপাশের বাজার। পুরো রাস্তাজুড়ে বসেছে বাহারী জুতো স্যান্ডেলের বাজার। নিউ মার্কেট সহ বড় বড় শোরুমে ভীড় মন্দনয়। শেষ মুহুর্তে এসে বেশ জমে উঠেছে বিসিক শিল্প নগরীর সিল্ক ফ্যাক্টরী গুলোর শোরুম। যদিও সেখানে বিত্তবানদের আনাগোনা বেশী দেখা যায়। লন্ড্রি আর ধোপাবাড়িতে এখন প্রচন্ড ব্যস্ততা। আরডিএ মার্কেটের তৈজষ মার্কেটে ভীড় বেড়েছে। চলছে ডিনারসেট, সেমাইসেট থেকে শুরু করে বাটি গøাস কেনা। ডেলিভারী দেয়া হচ্ছে সোফার কুশন, পর্দা। প্রস্তুতি নিয়েছে মুদি দোকানীরা। দু’একদিনের মধ্যে শুরু হবে চাল সেমাই চিনি মশল্লাসহ রকমারী সামগ্রী। ইতোমধ্যে গরম মসল্লার গরম বেড়েছে। মুরগী মাংশ বিক্রেতারা প্রস্তুত। রমজানের বাজার শুরু হয়েছিল মেশওয়াক দিয়ে। এখন বিক্রি হচ্ছে টুপি,আতর, সুরমা। বিউটি পার্লার আর সেলুন গুলোয় ভীড় কম নয়। এ দু’স্থানে এখনি সিরিয়াল দিতে হচ্ছে। ফুটপাতের কসমেটিক্স দোকানেও বেশ ভীড়। চুড়ি আলতা, নেইল পলিশ আর বিভিন্ন ধরনের চুলের কিলিপের চাহিদা বেশী জানালেন বিক্রেতারা। এসব জিনিষ মহল্লায় মহল্লায় ফেরী করে বিক্রি হচ্ছে। ফেরীওয়ালারা শাড়ি রেডিমেট কাপড় কসমেটিক্স লুঙ্গি বিছানার চাদর নিয়ে শহর থেকে একেবারে গ্রামে গ্রামে পৌছে গেছে। সেখানও চলছে ঈদের কেনাকাটা। তাছাড়া গ্রামে গ্রামে এখন এসবের স্থায়ী দোকান হয়েছে। গ্রামে গ্রামে এবার ঈদের বাজার সর্ম্পকে জানতে বেশ ক’জনের সাথে যোগাযোগ করে জানাযায় সেখানেও বেচাকেনা মন্দনয়। এবার ঈদের আগেই ঘরে এসেছে নতুন ধান। পেকেছে আম। এ’দুটো বেচে কম বেশী যাইহোক কিছু টাকা পয়সা এসেছে হাতে। তাদিয়ে ঈদের খুশী কেনার চেষ্টা চলছে। সবমিলিয়ে নগর গ্রাম সর্বত্র ব্যস্ততা আসন্ন ঈদুল ফেতরের আয়োজন নিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।