রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে
রংপুর ও দিনাজপুরের মধ্যবর্তী নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের রেললাইনের ধারে জমে উঠেছে আমার বাজার। প্রতিদিনই রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ স্থানীয় বিভিন্ন এলাকা থেকে শহরের আড়তগুলোতে আসছে বিভিন্ন জাতের আম। মিসরিভাগ, গোপাল ভোগ, ল্যাংড়া, লখনা, হাঁড়িভাঙ্গা, খিরসাপাতি, হিমসাগর, মিসরীভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমের সুগন্ধে ভরপুর চারদিক। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চলছে আমের কেনাবেচা। বাণিজ্যিক শহর হিসেবে খ্যাত এলাকা নীলফামারীর সৈয়দপুর। এছাড়া নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও পার্বতীপুরসহ রংপুর বিভাগের অন্যতম ব্যবসার কেন্দ্রস্থল হচ্ছে সৈয়দপুর। আর এ কারণেই ওইসব এলাকার আম চাষি বা ব্যবসায়ীরা সঠিক দাম পেতে এবং অল্প সময়ে বিক্রির জন্য ট্রাক, পিকআপ, নছিমন ও রিকশা-ভ্যান যোগে আম নিয়ে আসছেন সৈয়দপুরে। প্রতিদিন এ শহরে এক থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত আম কেনা-বেচা হয় সৈয়দপুরের আমের আড়তসহ বাজারগুলোতে। শহরের ১নং রেলঘুমটির পাশেই প্রায় অর্ধকিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা আমের আড়তগুলোতে গত বছরের তুলনায় এ বছর তুলনামূলক বেশি ভীড় লক্ষ্য করা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এছাড়া শহরের গোলাহাট, রেলকারখার গেট বাজার, চৌমহনী, নিচুকলোনী ও বিমানবন্দর বাজার ছাড়াও গ্রামের হাটগুলোতে বসছে আমের বাজার। আমের প্রকার ভেদে নির্ধারণ করা হচ্ছে দাম। ভালো জাতের আমের মূল্য প্রতি মণ ১২শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা পর্যন্ত। রংপুর বিভাগের আলোচিত এবং রসমালাই নামে পরিচিত হাঁড়িভাঙ্গা আম প্রতি মণ ১৬শ’ থেকে ২ হাজার টাকা মূল্যে। আড়তদার লেবু ও আফসার জানান, গতবারের তুলনায় চলতি মৌসুমে ৩ গুণ আম তাদের আড়তে এসেছে। আমের আমদানি যেমন বেড়েছে তেমনি ক্রেতাদেরও কমতি নেই। দিনাজপুর ও রাজশাহীর বাগান মালিক আব্দুর রহিম ও সাহেব আলী আমের বাজার পরখ করতে এসেছেন। তারা জানান, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের ভালো ব্যবস্থা থাকায় তাদের আম বিক্রির জন্য সৈয়দপুরের বাজারই পছন্দ এবং গত মৌসুমের তুলনায় ভালো দামও পাচ্ছেন বলে জানান তারা। ক্রেতারা পাইকারি বাজার থেকে আম কিনে কাটনে ভরে পার্শ্বেল যোগে দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠাচ্ছেন। ফলে চলাচলকারী কুরিয়ার সার্ভিসের বাসগুলোতে চাপ বেড়েছে। স্থানীয় এস এ পরিবহন, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস, আহেমেদ পার্শ্বেল সার্ভিস ও করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিস আমের কাটন বুকিংয়ে ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা করে নিচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।