Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্যঝুঁকিতে হাজার মানুষ

| প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মোক্তার হোসেন মোল্লা, সোনারগাঁ থেকে : সোনারগাঁও পৌরসভার টিপরদী এলাকায় অবস্থিত চৈতী কম্পোজিট থেকে নির্গত তরল বিষাক্ত বর্জ্য ফেলায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে উপজেলা চারটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। এতে মারাত্মক বিপর্যস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও ফসলি জমি খাল বিল ও নদী নালা। স্থানীয় জনগন এ বিষাক্ত বর্জ্য থেকে পরিবশে রক্ষার জন্য প্রশাসনের বরাবর লিখিত অভিযোগ ও কয়েকবার মানববন্ধন করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না।
জানা গেছে, সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকায় চৈতী কম্পোজিট নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণের পর থেকে তাদের কোম্পানীর বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি টিরপদী খালের উপর ফেলে। এ খাল দিয়ে বিষাক্ত পানি উপজেলার সনমান্দি, পৌরসভা ও মোগরাপাড়া ও পিরোজপুর ইউনিয়নের শাখা খাল থেকে শুরু করে মেনীখালি ও ব্র²পুত্র নদের গিয়ে মিশে নদীর পানি কালো ও দুগর্ন্ধ হয়ে পড়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে খালে মাছ নষ্ট হয়ে মাছ শুন্য হয়ে পড়েছে খালগুলো। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে বর্জ্যগেুলো পানির সাথে মিশে তিনটি ইউনিয়নের ফসল ও ফসলী জমি গুলো নস্ট করে ফেলেছে। কালো পানি ও বিষাক্ত বর্জ্যরে কারণে মাছ খামারীরা তাদের মাছ চাষ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তীতে পড়েছে চারটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা জানায়, চৈতী কম্পোজিট কর্তৃপক্ষ এলাকার কিছু প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে রাতের আধারে গোপন সুয়ারেজের মাধ্যমে তাদের বিষাক্ত বর্জ্যযুক্ত তরল পানি বিভিন্ন খাল ও নদীতে ফেলে। ফলে বিকাল বেলা খালের পানির রং থাকে এক সকাল বেলা হয়ে যায় আরেক। তাদের ফেলা বর্জ্যগুলো এতটাই বিষাক্ত যে এ পানি শরীরের যেখানে লাগে সেখানে চুলকানি হয়ে ঘাঁ হয়ে যায়। এ ঘাঁ থেকে ইনফেকশন হয়ে অনেককে হাত-পা হারিয়ে চিরতরে পঙ্গুত্ব বরন করেছে
এ ব্যাপারে জানাতে চাইলে চৈতী কম্পোজিটের এজিএম মিজানুর রহমান জানান, আমাদের কোম্পানীর পানি ইটিবে ব্যবহারের মাধ্যমে পরিশোধিত করে বের করি। এক ফোটা বিষাক্ত পানিও আমরা খালে ফেলিনা। তবে, আমাদের পানি রং টা সাদা না হয়ে লাল হয়ে যায় এজন্য আমরা নতুন একটি সিআর প্রকল্প হাতে নিয়েছি এ বছরের মধ্যে প্রকল্পটি চালু করবো।
সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমান ভুইয়া জানান, আমিও এ বিষয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি। পৌরবাসীর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীনুর ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমি সরেজমিনে চৈতী আশপাশের খালে বিষাক্ত বর্জ্যে ভয়াবহ অবস্থা। আমি তদন্ত করে বর্জ্যের প্রমান পেয়েছি। এ রির্পোট পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত ভাবে জানানো হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মানুষ

২৭ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ