Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাচার হচ্ছে রেণুপোনা

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বরিশাল মহানগরীর আসেপাশের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে নিয়মিত চিংড়ির রেণু পোনা পাচার হচ্ছে। প্রায়সই এধরনের কম বেশী রেণু পোনা আটক হলেও এ অপতৎপড়তা থেমে নেই। অতি স¤প্রতিও নগরী থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পূর্বে বাকেরগঞ্জ উপজেলার নেহালগঞ্জ ফেরীঘাটে গিয়ে ১৪ পাচারকারীকে আটক এবং ট্রাকটি জব্দ করে। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করে এবং রেণুপোনাগুলো নদীতে অবমুক্ত করা হয়। তবে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ বন্দর থানা পুলিশ ৪ শীর্ষ পাচারকারীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। এছাড়া কয়েকদিন আগেই পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় প্রশাসন দুটি ট্রাকসহ ৫লাখ গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণুপোনা আটক পর দুটির চালককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
সূত্র জানায়, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, লক্ষীপুর পিরোজপুর ও নোয়াখালী উপক‚ল থেকে অবৈধভাবে ধরা বাগদা ও গলদা চিংড়ির রেণুপোনা পাচারের জন্য বরিশাল সদর উপজেলার নেহালগঞ্জ ও লাহারহাট ফেরীঘাট এবং নগরীর একতলা লঞ্চঘাট, তালতলী ও বেলতলা খেয়াঘাটকে দীর্ঘদিন থেকে ব্যবহার করে আসছে একটি পাচারকারী সিন্ডিকেট। তারা এসকল রেণুপোনা বিক্রি করে দিচ্ছে বিভিন্ন চিংড়ি ঘের মালিক বা দালালদের কাছে। এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রায় প্রতি রাতেই নেহালগঞ্জ অথবা পাশের কাটাদিয়া ঘাট থেকে রেণুপোনা পাচার করা হয়। নেহালগঞ্জ ঘাট এলাকায় পাচারকারী চক্র অস্থায়ী টং ঘর বানিয়েছে এ কার্যক্রম করে আসছে ।
সম্প্রতি, চিংড়ির রেণুপোনা পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা হারুন ওরফে পাতিল হারুন আটক হবার পর প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের বলেন, বন্দর থানা পুলিশকে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়েই তারা দীর্ঘদিন ধরে রেণুপোনা পাচার করছেন। হারুন ও তার সহযোগীরা সাংবাদিকদের জানান, বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চল থেকে চিংড়ির রেণুপোনা পাচারকারী চক্রের প্রধান হলেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এলাকার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ টুলু।
এদিকে বরিশাল মেট্রেপলিটন পুলিশের মূখপত্র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ নাসির উদ্দিন মল্লিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নেহালগঞ্জ ফেরীঘাটে চিংড়ির রেণুপোনা আটকের ঘটনার পর ওই থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহফুজুর রহমান। তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) খান মোঃ আবু নাছের। কোস্টগার্ড বরিশাল স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানান, প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট বরিশালকে রেণুপোনা পাচারের ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে। মাঠ পর্যায়ে তাদের সোর্স নিয়োজিত আছে। খবর পেলেই তারা অভিযানে যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ