পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ লক্ষ্যের বিপরীতে প্রাথমিক হিসাবে চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির এ অর্জন সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আগের দুই অর্থবছরও লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সফলতার এ ধাবাহিকতা ধরে রাখতে ২০১৮-১৯ অর্থবছর ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এক্ষেত্রে আশাবাদীও অর্থমন্ত্রী। গতকাল জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা বাজেটে এমন লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
জিডিপিতে বড় প্রবৃদ্ধির পাশাপশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বড় ধরণের সফলতা আশা করছেন অর্থমন্ত্রী। আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সাড়ে ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য বেধে দেয়া হয়েছিল। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে গত ১২ মাসে গড় মূল্যস্ফীতি দাড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮১ শতাংশে। দুই মাস ধরে মূল্যস্ফীাতর হার কিছুটা নি¤œমূখী রয়েছে।
চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফলতাকে বাজেট বক্তৃতায় বড় করে তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি সংসদে বলেন, চলতি বছর ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণ করেছে। মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প সূচক প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে। বন্যায় প্রথম দিকে কৃষিখাতে উৎপাদন ব্যাহত হলেও ভর্তুকি, কৃষি উপকরণ সরবরাহ ও অন্যান্য সহায়ক কার্যক্রমে আমন ও বোরোর উৎপাদন বেড়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত ভোগ ও সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা শক্তিশালী হয়েছে। এর পরও বৈশ্বিক পরিমন্ডলে উৎপাদন ও বাণিজ্যে প্রাণসঞ্চারের ফলে রপ্তানি, প্রবাস আয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ছে। এ সব বিষয় জিডিপি প্রবৃদ্ধির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আমরা লক্ষ্যভিত্তিক আয় হস্তান্তর কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এগুলোর ভোগ গুণক সাধারণ শক্তিশালী হয়ে থাকে। অন্যদিকে দেশের শিল্প ও কৃষিখাতের প্রকৃতি মজুরি বৃদ্ধির ধারা অব্যহত রয়েছে। এর ফলে ব্যক্তি খাতের ভোগব্যয় বাড়বে। এ ছাড়া সার্বিকভাবে বাজেটের আকার বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি খাতের ভোগ ব্যয়ও উল্লেখযোগ্যহারে বাড়বে বলেও তিনি মনে করেন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, অর্থমন্ত্রী অভ্যন্তরীণ চাহিদার মধ্যে বিনিয়োগ ব্যয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ । সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) আকার বাড়ানো হয়েছে। এর বাস্তবায়ন সময়মতো করার জন্য চলমান কার্যক্রমগুলোকে আরো জোরদার করা হবে। ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগের প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলো আমরা চিহ্নিত করে তা অপসারণে সরকার তৎপর হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
স্বস্থির সঙ্গে অর্থনীতিতে কিছুটা শঙ্কাও যুক্ত হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বাজেট বক্তৃতায় বলেন, চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ বাড়েনি তাল মিলিয়ে। এর ফলে বছরের প্রথম তিনমাসে বৈশ্বিক পণ্যমূল্য সার্বিকভাবে বেড়েছে। চলতি বছল অপরিশোধিত তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি ৬৫ মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। ২০১৭ সালে তেলের দাম ছিল ব্যরেলপ্রতি ৫৩ মার্কিন ডলার। ৩ বছর স্থির থাকার পর কৃষিপণ্যের মূল্য বাড়ছে। ধাতব পণ্যের মূল্য ৯ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া, ভারত ও চীনসহ প্রতিবেশী দেশসমূহেও মূল্যস্ফীতির গতিধারা ঊর্ধ্বমুখী।
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশে নেয়া সম্ভব বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ২০১৭ সালে দ্রæততম প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী শীর্ষ দশটি দেশের তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে। স্থানীয় সরকারের ঢালাও সংস্কার করে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়ানো যাবে। এ অবস্থায় প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাতে আগামী অর্থবছর বিনিয়োগের পরিমাণ জিডিপির ৩১ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৩ দশমিক ৫৪ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে জিডিপির ২৫ দশমিক ১৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, এক বছরে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অর্থ হলো এক বছরে জীবন যাত্রার ব্যয় ১০০ টাকায় ৫ টাকা ৬০ পয়সা বাড়বে। চলতি বছর ১০০ টাকায় যে পণ্য পাওয়াযায় তা কিনতে এক বছর পর ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা লাগছে। আয় না বাড়লে এই পরিমাণ মূল্যের পণ্য কম কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। তবে মূল্যস্ফীতি বাদ দিয়েই ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।