পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
0 সিলেটের একজন এমপি খুনের চুক্তি হয় লন্ডনে 0 স্ত্রীও গ্রেফতার, ১৫ বিদেশি অস্ত্র-১৬২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
বিশেষ সংবাদদাতা : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে ২০০২ সালে এমবিবিএস পাস করেন ডা. জাহিদুর রহমান। এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি ক্লিনিকে চাকরি করলেও সরকারিভাবে কোনো স্থায়ী চাকরির চেষ্টা করেননি তিনি। ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের শখ ছিলো তার। বিচিত্র এ শখ থেকেই পরবর্তীতে অস্ত্র বিক্রেতা ও কন্ট্রাক্ট কিলার হয়ে ওঠেন ডা. জাহিদুর রহমান। তাকে সাহায্য করতেন তার স্ত্রী মাসুমা আক্তার। স¤প্রতি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও গাবতলী এলাকা থেকে ডা. জাহিদুর রহমান ও তার স্ত্রী মাসুমা আক্তারকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তাদের হেফাজত থেকে ১৫টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১ হাজার ৬২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ১৫ মে যাত্রাবাড়ী থেকে দুটি পিস্তলসহ ডা. জাহিদুরকে গ্রেফতার করা হয়। দুই দফা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সবকিছু তার স্ত্রী জানেন বলে জানান তিনি। এরপর গত ৩ জুন তার স্ত্রী মাসুমা আক্তার গাবতলী থেকে ১টি পিস্তলসহ গ্রেফতার করা হয়। রিমান্ডে এনে তাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত তথ্য বেরিয়ে আসে। ডা. জাহিদুর ও তার স্ত্রী মাসুমা আক্তারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৭ জুন ভোরে তাদের ময়মনসিংহের বাসা থেকে আরো ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে পয়েন্ট ২২ বোরের রাইফেল ৩টি, ৩০৩ রাইফেল ১টি, পয়েন্ট ৩২ বোর রিভলবার ৪টি, পয়েন্ট ২২ রিভলবার ১টি, ৭.৬৫ পিস্তল ৫টি, পয়েন্ট ২৫ পিস্তল ১টি এবং ১৬২২ রাউন্ড গুলি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ডা. জাহিদুর ২০০২ সালে ডাক্তারি পাস করলেও কোনো স্থায়ী চাকরিতে যোগ দেননি। ২০১৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি ডিপ্লোমা করেন। মাঝখানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন ক্লিনিকে অল্প কিছুদিন করে চাকরি করেন। ছাত্রজীবন থেকেই ডা. জাহিদুরের অস্ত্র সংগ্রহের শখ ছিলো। যেহেতু তিনি স্থায়ী কোনো চাকরি করতেন না তাই জীবনধারণ এবং নতুন অস্ত্র সংগ্রহের ঝোঁক থেকেই তিনি অস্ত্র ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। ডা. জাহিদুরের হাতের নিশানা খুবই নিখুঁত ছিলো। যেহেতু কন্ট্রাক্ট কিলিংয়ে প্রচুর অর্থ পাওয়া যায়, সেই সুবাদে পর্যায়ক্রমে কন্ট্রাক্ট কিলার হয়ে ওঠেন তিনি। বেশকিছু কিলিংয়ে তিনি অংশ নিয়েছেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, স¤প্রতি সিলেট অঞ্চলের এক সংসদ সদস্যকে খুনের জন্য লন্ডনের এক ব্যক্তির সঙ্গে ডা. জাহিদুরের চুক্তি হয়। তিনি রিমান্ডে রয়েছেন, কোন সংসদ সদস্য খুন করতে লন্ডনের কোন ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। ডা. জাহিদুরের সব অস্ত্রই বৈধ ডিলারের কাছ থেকে সংগ্রহ করা। কিছু অস্ত্র কেনার পর তিনি নিজেই মোডিফাই করেছেন। যেসব ডিলারের কাছ থেকে অস্ত্রগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল তাদের নাম আমাদের কাছে এসেছে। যাচাই-বাছাই শেষে সেসব ডিলারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডা. জাহিদ কতগুলো কিলিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ২০০৩-৪ সাল থেকে তিনি এসব কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। অস্ত্র ব্যবসার সুবাদে বিভিন্ন এলাকার দুর্ধষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গেও তার সখ্যতা ছিলো। কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীকে ডা. জাহিদুর অস্ত্র সহায়তা দিয়েছেন কি না, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান মনিরুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।