Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বালু ভরাট করে সরকারি জমি দখল: রূপগঞ্জে ১৮ বিঘা জমি উদ্ধার

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে মোঃ খলিল সিকদার | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ”ঢাকা ভিলেজ” নামের একটি অবৈধ আবাসন প্রকল্পে দখলে থাকা ক তফসিল ভুক্ত সরকারী অর্পিত প্রায় ১৮ বিঘা জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন। গত সোম ও মঙ্গলবার উপজেলার ভিংরাব ও মুশুরী এলাকায় দুই দিনব্যাপি মেপে সরকারি জমি উদ্ধার করে লাল নিশানা ও সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয়। বালু ভরাট করে ক তফসিল ভুক্ত সরকারি অর্পিত জমি জবরদখলের নেপথ্যে রয়েছেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম চৌধুরীর অপুর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ।
জানা গেছে, গত প্রায় ৬ বছর আগে ভিংরাবো ও মুশুরী মৌজা এলাকায় ”ঢাকা ভিলেজ” নামের একটি আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম চৌধুরী অপুর নেতৃত্বে তার একটি গ্রুপ কৃষকদের জমি-জমা না কিনেই বালু ভরাট করতে শুরু করেন। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেই দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে মামলা-হামলা দিয়ে এসব জবরদখল করেছে মাসুম চৌধুরী অপুসহ ওই গ্রুপটি। বালু ভরাট করে জবরদখলের পর স্থানীয় কৃষকদের দিয়ে না দিয়ে রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছে। আবার অনেকের জমি জাল-জালিয়াতি করে নিয়ে নিয়েছে। কৃষকদের জমির পাশাপাশি ১৮ বিঘা ক তফসিলভুক্ত সরকারি অর্পিত জমি জবরদখল করে বালু ভরাট করে ফেলে। কোনটি ৩ কাঠা করে, কোনটি ৫ কাঠা করে, আবার কোনটি ১০ কাঠা করে প্লট করা হয়েছে। এমন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন মাসুম চৌধুরী অপুসহ আরো কয়েক জন। তখন তাদের দাপটে প্রশাসনও ছিলো নিরব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রশাসন সরেজমিনে গিয়ে ”ঢাকা ভিলেজ” নামক আবাসন প্রকল্পের জবরদখলে থাকা ভিংরাবো ও মুশুরী মৌজার বিভিন্ন দাগে ১৮ বিঘা সরকারি অর্পিত জমি বের করেন। প্রতিটি জমি মেপে লাল নিশানা এবং সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন।
ঢাকা ভিলেজ আবাসন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার আবদুল্লাহ বলেন, সরকারি জমিগুলো লিজ নেয়া ছিলো। তাদের সঙ্গে কথা বলেই বালু ভরাট করা হয়েছে। অভিযুক্ত মাসুম চৌধুরী অপু বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, যত বড়ই প্রভাবশালী বা রাজনৈতিক নেতা হোক না কেন, সরকারি জমি বালু ভরাট করে জবরদখল করবে এটা হতে দেয়া হবে না। প্রতিটি এলাকার সরকারি জমি উদ্ধার করা হবে। যারা এ ধরনের অবৈধ আবাসন প্রকল্পে প্লটের নামে টাকা দিচ্ছেন, তারা প্রতারিত হচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ