গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার দাবি করেছেন, তাকে কালো কাপড়ে চোখমুখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর রিপোটার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। গতকাল বুধবার ইমরান এইচ সরকারকে তুলে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে গণজাগরণ মঞ্চ।
ইমরান দাবি করেন, কালো কাপড় দিয়ে চোখমুখ বেধে হাতকড়া পড়িয়ে তাকে তুলে নিয়ে র্যাব-৩ এর কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এরপর র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসলে কালো কাপড় ও হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়। র্যাবের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে আলোচনা করতে চান বলে জানান। তারা জানতে চান—কিসের জন্য আন্দোলন করছি? এর উদ্দেশ্য কি? এক পর্যায়ে র্যাব কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে মাদকবিরোধী অভিযানের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন। মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরতে চান।
ইমরান জানান, তিনি র্যাবের কর্মকর্তাদের বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে যেমন তারা সোচ্চার তেমনই মাদকবিরোধী অভিযানের নামে যে বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে তার বিরুদ্ধেও তারা সোচ্চার। এ কথাটি তিনি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, ‘যে প্রক্রিয়ায় তাঁকে তুলে নেওয়া হয়েছে সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। শুধু প্রতিবাদ করার জন্য একটি প্রতিবাদ সভা থেকে কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়া সিনেম্যাটিক স্টাইলে তুলে বিষয়টি প্রত্যাশিত নয়।’
ইমরান বলেন, শাহবাগ থানা পুলিশ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে লিখিতভাবে অবহিত করেই তারা সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। তাই অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে যে দাবি করা হয়েছে তা সঠিক নয়। অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা, এটা দেখার দায়িত্ব র্যাবের না, এটা পুলিশের।
সংবাদ সম্মলেনে ডিএমপির বরাবর পাঠানো কর্মসূচির অবগতি ও নিরাপত্তার আবেদনপত্রের একটি কপি দেখান ইমরান।
সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মী খুশি কবীর বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে নিজের হাতে যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।’
তুলে নেওয়ার পর তাকে কখন ছাড়া হয়—এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান এইচ সরকার বলেন, তুলে নেওয়ার পর তার বোন ও ভাইয়ের ফোন নম্বর নেন র্যাবের কর্মকর্তারা। তাদের ডেকে নেওয়া হয়। এরপর তাদের জিম্মায় রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, ইমরানকে আটক ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আজ বিকেল চারটায় প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজান করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন উদীচীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডি এম জিলানী শুভ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।