এ নিয়ে টানা তিন জয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়াকে হারাতে পারলেই ফাইনালের টিকিট পাবেন নারীরা।
কুয়ালালামপুরের কিনরারা একাডেমি ওভাল মাঠে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সালমা খাতুন। তার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করেন বোলাররা। তাদের আগ্রাসী বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি থাইল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৩৯ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে কোমর ভেঙে যায় থাইদের। সেখান থেকে অধিনায়ক সোনারিন টিপচের অপরাজিত ১৩ এবং টেলএন্ডার সিরিন্ত্রা সেংসাকারোতের ১৪ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬০/৮ রান সংগ্রহ করেন তারা। সর্বোচ্চ ১৫ রান আসে নাত্য বোচাথামের ব্যাট থেকে আসে।
এদিন বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন বাংলাদেশের সবাই। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচায় ২ উইকেট নেন সালমা খাতুন। ৪ ওভারে ১০ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন নাহিদা আক্তার। ৪ ওভারে ৯ রানে ১ উইকেট ঝুলিতে ভরেন ফাহিমা খাতুন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৮ রান করে ফিরেই যান শামীমা সুলতানা। তবে এর পর আর বিপদ ঘটতে দেননি আয়েশা রহমান ও নিগার সুলতানা। ৫৮ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নোঙর করান তারা। বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়ার আগে দুজনের ব্যাট থেকেই আসে সমান ২৫ রান করে।
হিসাবি বোলিং ও অনন্য নেতৃত্ব গুণে ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে উঠেছে সালমার।
৪ ম্যাচে ৩ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বাংলাদেশ। আগামী ৯ জুন স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলতে নামবেন জয়রথে উড়া নারীরা।